নিজস্ব সংবাদদাতাঃ সাত মাসের সন্তান সম্ভবা ছিলেন মহিলা। সে কারণে বাপের বাড়িতে এসে থাকছিলেন। এদিকে, বাপের বাড়ির সঙ্গে প্রতিবেশীদের ঝামেলা চলছিল। পারিবারিক বিবাদের জেরে গর্ভবতী মহিলার পেটে লাথি মেরে ভ্রুণ হত্যার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড়ের কাশিপুর থানার চালতাবেরিয়া গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিবেশী আলাউদ্দিন মল্লিকের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিবাদ নিয়ে ঝগড়া হচ্ছিল নাজিমুল মোল্লার পরিবারের। এদিকে, বিগত কয়েকদিন ধরেই নাজিমুলের গর্ভবতী মেয়ে সোমা বিবি তাঁর বাড়িতে এসে থাকছিলেন। শনিবার সকালে নাজিমুলের বাড়িতে কেউ ছিল না। অভিযোগ, তখনই আলাউদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যরা তাকে মারধরের পাশাপাশি তার পেটে লাথি মারে। সেই সময় সোমার গর্ভস্থ সন্তান বেরিয়ে আসে। যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকেন সোমা। তাঁকে উদ্ধার করে জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমা বিবিকে হাসপাতালে ভর্তি নিলেও সাত মাসের অপুষ্ট শিশুকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাইরে তাঁর দিদিমার কাছেই রেখে দেন। এই নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কর্তব্যের গাফিলতির অভিযোগ উঠছে। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নেমে আলাউদ্দিন মল্লিক সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের শনিবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে তুলবে কাশিপুর থানার পুলিশ।