অসমে আল-কায়েদা-সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসী মডিউলের পর্দাফাঁস, ধৃত ১১

author-image
Harmeet
New Update
অসমে আল-কায়েদা-সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসী মডিউলের পর্দাফাঁস, ধৃত ১১

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বড় সাফল্য পেল অসম পুলিশ। জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা ও বাংলাদেশের আনসারুল্লাহ বাংলা টিম সহ অন্য সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোর সঙ্গে যোগ থাকা দুটি টেরর মডিউলকে ধরেছে তারা। রাজ্যের ৪ জেলা থেকে মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল মরিগাঁও, বারপেটা, গুয়াহাটি এবং গোয়ালপাড়া জেলা থেকে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজন আবার মাদ্রাসার শিক্ষক। ধৃতদের কাছ থেকে অসংখ্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং অপরাধমূলক নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অসম পুলিশ জানিয়েছে, মোস্তফা ওরফে মুফতি মুস্তফা মরিগাঁও জেলার সাহারিয়া গাঁয়ের বাসিন্দা এবং আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সক্রিয় সদস্য, এই সংগঠনটি ভারতীয় উপমহাদেশে আল কায়েদার সঙ্গে যুক্ত। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের হয়ে টাকা তুলত মোস্তফা। পুলিশ জানিয়েছে যে মোস্তফা সাহারিয়া গাঁও গ্রামে একটি মাদ্রাসা চালায়, এখানেই ধৃতরা আশ্রয় নিত। পুলিশ এই মাদ্রাসা এখন সিল করে দিয়েছে। মোস্তফা ছাড়াও মরিগাঁও থেকে আফসারউদ্দিন ভূঁইয়াকে (৩৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোয়ালপাড়ার বাসিন্দা আব্বাস আলি (২২) নামে এক যুবককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। সে মেহবুবুর রহমান নামে একজনকে আশ্রয় দিয়েছিল। যোগীঘোপা পিএস মামলায় ওয়ান্টেড মেহবুবুর রহমান ওরফে মেহবুবও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য। গত ২৬ জুলাই তাকে গ্রেফতার করে বনগাঁও থানা পুলিশ। বাকি যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হল-জুবায়ের খান (২৫), রফিকুল ইসলাম (২৭), দেওয়ান হামিদুল ইসলাম (২০), মইনুল হক (৪২), কাজিবুর হোসেন (৩৭), মুজিবুর রহমান (৫০), শাহানুর আসলাম ও শাহজাহান আলি (৩৪)। জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে তাদের যোগসূত্র এবং নেটওয়ার্ক খুঁজে বের করার জন্য আরও তদন্ত করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, "গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত আমরা অসমের বারপেটা এবং মরিগাঁও জেলায় দুটি জিহাদি মডিউলকে ধরেছি এবং জিহাদি মডিউলের সঙ্গে জড়িত সকলকে গ্রেফতার করেছি।" তিনি আরও বলেন, "এটি অসম পুলিশ এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সমন্বিত পদক্ষেপ। এসব গ্রেফতার থেকে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।"