হাবিবুর রহমান, ঢাকাঃ এশিয়ার সর্ববৃহৎ বাংলাদেশে হাওর হাকালুকিতে দেখা মিলেছে টর্নেডো বা জলস্তম্ভের। শনিবার বিকেলে কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলা থেকে স্থানীয় ব্যক্তিরা এ টর্নেডো দেখতে পায়। ৫০ বছরের মধ্যে হাওরে এমন দৃশ্যের দেখা মেলেনি বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। তবে এটির দ্বারা কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, জল দিয়ে মোড়ানো বাতাসের তৈরি টর্নেডোর ফলে এটি সৃষ্টি হয়। জলভাগের ওপর শক্তিশালী টর্নেডো সৃষ্টি হলে প্রবল বেগে ঘূর্ণমান বায়ুর টানে জলভাগের জল টর্নেডোর কেন্দ্র বরাবর স্তম্ভাকারে ঘুরন্ত অবস্থায় ওপরে উত্থিত হয়। একে জলস্তম্ভ বলে। তবে গ্রামাঞ্চলে এটি ‘মেঘশূর’ নামে পরিচিত। দেখতে টর্নেডোর মতো হলেও টর্নেডোর সঙ্গে এর মৌলিক পার্থক্য উপাদানে। টর্নেডোতে থাকে বায়ু আর জলস্তম্ভে বায়ুর পরিবর্তে থাকে জল। জলস্তম্ভ সাধারণত জলেই থাকে বলে জনপদে আহামরি ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালাতে পারে না। আর স্থলভাগের স্পর্শে আসলে এটি গুঁড়িয়ে যায়।
তবে জাপানের কাইটো বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ের প্রফেসর ড. শি থাইচি হায়াসিস জানিয়েছেন, এটি এক ধরনের টর্নেডো। মূলত টর্নেডোর কারণে এ রকমটি হয়ে থাকে। তবে এ ধরনের ঘটনা সচরাচর কমই দেখা যায়।