হরি ঘোষ, আসানসোল : বাঁদরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ জামুড়িয়ার চাঁদা গ্রামের বাসিন্দারা। বাঁদরের কামড়ে আহত শতাধিক মহিলা ও পুরুষ। বাঁদরটিকে দ্রুত ধরার দাবিতে প্রায় আধঘন্টা রাস্তা অবরোধ স্থানীয় বাসিন্দাদের। সেই সঙ্গে দাবি, গ্রামে স্বাস্থ্য শিবির তৈরি করার। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত দু মাস ধরে বাঁদরটি ওই এলাকায় অত্যাচার চালাচ্ছে। বাড়ি থেকে বের হলে কামড় বা আঁচরে দিচ্ছে। এখনো পর্যন্ত শতাধিক মহিলা ও পুরুষকে বাঁদরটি আহত করেছে। পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ও বনদফতরের কর্মীরা, গত দু'মাসে বহুবার এসেছেন। কিন্তু সঠিক প্রশিক্ষণ না থাকার জন্য বাঁদরটিকে তারা ধরতে পারছে না।স্থানীয় মানুষজন এতটাই আতঙ্কিত যে বাড়ি থেকে বের হলেও হাতে লাঠি নিয়ে বের হতে হচ্ছে। এমনকি গত দুমাস ধরে শিশুরা গৃহবন্দী বলে স্থানীয়দের একাংশের দাবি।
পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্য সৌরভ মুখার্জি জানান, বাঁদরটিকে ধরার জন্য বনদফতরের সঙ্গে তারাও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্ভবত ওই বাঁদরটি মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে। যখনই বাঁদরটিকে ধরার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে তখনই বাঁদরটি জঙ্গলের মধ্যে কোনও গাছের মধ্যে লুকিয়ে পড়ছে।বনদফতরের আধিকারিক কৃষ্ণা পাসওয়ান জানান যে তারা বহু বাঁদর রেসকিউ করে নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু এই বাঁদর টিকে রেসকিউ করার ক্ষেত্রে তাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। মোট ১২ জন বনদফতরের কর্মী গত পাঁচ দিন ধরে বাঁদরটিকে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।