একুশে জুলাই-এর আগে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

author-image
Harmeet
New Update
একুশে জুলাই-এর আগে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
দিগ্বিজয় মাহালী, মেদিনীপুরঃ একুশে জুলাই-এর আগেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বন্ধ রয়েছেপার্টি অফিস। মমতা ব্যানার্জির ছবি ছেঁড়া অবস্থায় পড়ে রয়েছে মেঝেতে। শাসক দলের পার্টি অফিস বন্ধ। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই বাস্তব পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার খড়্কুশমা এলাকায়। একটা আধটা নয়, প্রায় পাঁচ থেকে ছয়টি তৃণমূলের পার্টি অফিস বন্ধ গড়বেতার খড়্কুশমা এলাকায়।

গোটা রাজ্যজুড়ে যখন একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি তুঙ্গে, ঠিক সেই সময়ই দেখা যাচ্ছে খড়্কুশমা এলাকার প্রায় পাঁচ থেকে ছয়টি তৃণমূলের পার্টি অফিস বন্ধ। কারণ- তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের। যদিও স্থানীয় মানুষ থেকে ব্লক সভাপতি প্রত্যেকেরই বক্তব্য, সিপিএমের হারমাদরাই নাকি ওই পার্টি অফিসগুলি ভাঙচুর করেছে। যদিও পরবর্তী ক্ষেত্রে স্বীকার করেছেন আদি তৃণমূল ও নব্য তৃণমূলের গোলমালের কারণেই এই পার্টি অফিস বন্ধ রয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রায় পাঁচ থেকে ছয় মাস আগে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই ওই খড়্কুশমা এলাকায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুর করেছিল বলে অভিযোগ ছিল স্থানীয়দের। সারা রাত এলাকায় হয়েছিল বোমাবাজি। আর ঠিক তারপর থেকেই ওই এলাকায় দু'পক্ষের প্রায় পাঁচ থেকে ছয়টি পার্টি অফিস বন্ধ রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।


গড়বেতা এলাকায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সেবাব্রত ঘোষ ও পঞ্চায়েত সমিতির বনভূমি কর্ম অধ্যক্ষ অসীম সিংহের গোষ্ঠী সর্বজনবিদিত। এই দুই গোষ্ঠীর গোলমালে এই পার্টি অফিস বন্ধ। যদিও জোর দিয়ে এ বিষয়ে কেউই কথা বলতে রাজি হচ্ছেন না।

ব্লক সভাপতি সেবাব্রত ঘোষের বক্তব্য, সিপিএমের হারমাদরাই এই পার্টি অফিসগুলি ভাঙচুর করেছে। যদিও পরবর্তী ক্ষেত্রে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন আদি ও নব্য তৃণমূলের গোলামালের জেরেই পার্টি অফিস বন্ধ রয়েছে।

অন্যদিকে তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুজয় হাজরা বক্তব্য, এলাকায় একটা গোলমাল হয়েছিল নিজেদের মধ্যে। তারপর থেকে এলাকায় শান্তি রাখতে পার্টি অফিস গুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। একুশে জুলাই-এর পরেই পার্টি অফিস গুলি খুলে দেওয়া হয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।