দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : 'আমি মুজিবরকে বিয়ে করতে চাই। অন্যায়ের প্রতিবাদ চাই। মুজিবরের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করছি। যতক্ষণ না মুজিবর আমায় বিবাহ করে ততক্ষণ পর্যন্ত ধরনা চলবে', গলায় এমনই প্লাকার্ড ঝুলিয়ে প্রমিকের বাড়ির সামনে ধরনায় প্রেমিকা।এলাকায় উপচে পড়া ভিড় এলাকার মানুষজনের। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পৌঁছোয় পুলিশ। যদিও ধরনায় বসা সালমা খাতুনকে প্রেমিকের বাড়ি থেকে ধমক চমক দেওয়া হলেও ধরনা থেকে উঠতে নারাজ সালমা।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার হাটপুকুর গ্রামের বাসিন্দা সালমা খাতুনের সাথে প্রায় ৮ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে চন্দ্রকোনার ক্ষীরপাই পৌর এলাকার কাশিগঞ্জের বাসিন্দা সেনাবাহিনীর কর্মী মুজিবর চৌধুরীর সাথে। সালমার অভিযোগ, মুজিবরের সঙ্গে প্রায় আট বছর ধরে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে সেই ঘটনার কথা জানতে পের সালমার পরিবার সালমার অন্যত্রে বিয়ে দিয়ে দেয়। তারপরেও মুজিবর সালমার সাথে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করেনি। একাধিকবার প্রলোভন দেখাতে থাকে সালমাকে। তাকে বলে, 'তুমি তোমার স্বামীকে ছেড়ে দিয়ে চলে আসো। আমি তোমায় বিবাহ করব।' এমনকি একাধিকবার সহবাস করা ও লক্ষাধিক টাকা হাতানোর অভিযোগ তুলেছে সালমা তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে।অবশেষে সালমা তার স্বামীর ঘর ছেড়ে বাপের বাড়িতে চলে আসলে, মুজিবর সালমাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে,তাই সালমা মুজিবরের কাছে তার স্ত্রীর অধিকারের দাবিতে গলায় প্লাকার্ড ঝুলিয়ে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনায় বসে।
সালমার দাবি, এ বিষয়ে তিনি চন্দ্রকোনা থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে মুজিবর এর কাছ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া না মিললেও,মুজিবরের পরিবারের দাবি,তাদের ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে। তাদের ছেলে জানত না যে এই মেয়ের বিয়ে হয়েছে, অল্প কিছুদিন ধরে তাদের ছেলের সাথে ওই মেয়ের প্রেম ভালোবাসা গড়ে উঠেছিল। উল্টে তাদের ছেলের কাছ থেকে এই মেয়ে অনেক টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ। আর এই ঘটনায় রীতিমতো আলোড়ন পড়ে যায় ক্ষীরপাইয়ের কাশীগঞ্জে প্রেমিক মুজিবরের পাড়ায়।