সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে

author-image
Harmeet
New Update
সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে

হাবিবুর রহমান, ঢাকাঃ বাংলাদেশে করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যে এবার ঘরে ঘরে সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। করোনা ও ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ কাছাকাছি হওয়ায় অনেকেই দ্বিধায় পড়ছেন। তবে উপসর্গ একই ধরনের হলেও নমুনা পরীক্ষা-নিরীক্ষায় নেগেটিভ ফল আসছে। ফলে জ্বরে আক্রান্ত সাধারণ মানুষ শুরুতেই রোগটির ধরন বুঝতে পারছে না। এ পরিস্থিতিতে ভাইরাস দুটির দাপটে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন জ্বরে আক্রান্তরা।

জানা গেছে, বাংলাদেশে চলতি মৌসুমে বহু মানুষ জ্বরে ভুগছেন। এর মধ্যে রয়েছে করোনা, ডেঙ্গি এবং মৌসুমি ফ্লু। ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো ভাইরাস জ্বরের কারণে শরীর ব্যথা ও মুখের স্বাদ কমে যাচ্ছে এবং তা স্বাভাবিক হতেও অনেক দিন সময় লাগছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চলতি ঢেউয়ে করোনার তীব্রতা কম। তবে দীর্ঘমেয়াদি কোনো রোগ যদি শরীরে না থেকে অথবা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো কোনো কারণ না ঘটে থাকে সেটা এক্ষেত্রে ভালো ফল দেবে। আবার ডেঙ্গির কারণে অনেককে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে। এছাড়া বন্যাকবলিত এলাকায় পানিবাহিত রোগ বিশেষ করে টাইফয়েড, পেটের অসুখও হচ্ছে। যার কারণে জ্বর হচ্ছে।

তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, করোনার লক্ষণ তিন ধরনের উপসর্গের ওপর নির্ভর করে। সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, সর্দি, ক্লান্তি, স্বাদ বা গন্ধ হারানো। কম সাধারণ উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে গলা ব্যথা, মাথাব্যথা, ব্যথা এবং যন্ত্রণা, ডায়রিয়া, ত্বকে ফুসকুড়ি, আঙুল বা পায়ের পাতার বিবর্ণতা, চোখ লাল হওয়া বা চোখ জ্বলা। গুরুতর উপসর্গগুলোর মধ্যে আছে নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়া বা শ্বাসকষ্ট, কথা বলা বা চলাফেরার ইচ্ছা হারানো, বুক ব্যথা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গিজ্বরে সাধারণত তীব্র জ্বর ও সেই সঙ্গে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। জ্বর ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়। শরীরে, বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়।