নিজস্ব সংবাদদাতাঃ দেশের আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী ঐক্যের শক্তি পরীক্ষা করতে নেমেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শরদ পওয়াররা। কংগ্রেস সহ দেশের ১৭টি বিরোধী দল মিলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে সর্বসম্মতি ক্রমে দাঁড় করায় যশবন্ত সিনহাকে। কিন্তু গত এক মাসে শিবসেনার বড় ভাঙনে উদ্ধব ঠাকরের সরকারের পতন সহ নানা বড় ঘটনা ঘটে গিয়েছে। দল বাঁচাতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ প্রার্থী বিজেপির দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। বিজেডি থেকে বিএসপি, ওয়াইএস আর কংগ্রেসের মত এনডিএ-র মত দলও দ্রৌপদী মুর্মু-কেই সমর্থন জানিয়েছেন। এমনকী ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেসের জোট শরিক শাসক দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাও বিজেপি-র প্রার্থীকেই সমর্থন করছে। অন্যদিকে, বিহারের বাসিন্দা হয়ে নীতীশ কুমারের দলের ভোট আশা করলেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ফোন ধরেননি বলে আক্ষেপ করেছেন যশবন্ত সিনহা। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের ছন্নছাড়া অবস্থার মাঝে অক্সিজেন দিল আম আদমি পার্টি।
মঙ্গলবার, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে আপ-এর পক্ষ থেকে এদিন জানানো হল, তারা যশবন্ত সিনহাকেই সমর্থন জানাবে। বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী বাছার বৈঠকে হাজির না হলেও, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মমতাদের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আগামী দিনে দেশের জোট রাজনীতির দরজা খুললেন কেজরি। যদিও সাঙ্গুর উপনির্বাচনে হারের পর লোকসভায় আম আদমি পার্টির কোনও সাংসদ নেই। তবে দিল্লি ও পঞ্জাবে আপ ক্ষমতায়। দুটি রাজ্যে আপ-এর দেড়শোর ওপর বিধায়ক রয়েছে। তবে সংখ্যার কারণে নয় যশবন্ত সিনহাকে সমর্থন জানিয়ে দেশের বিরোধী রাজনীতিতে অক্সিজেন দিলেন কেজরিওয়াল।