দিগবিজয় মাহালী, কেশিয়াড়িঃ একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় শুক্রবার কেশিয়াড়িতে সভা করতে এসেছিলেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ। তবে মঞ্চে উঠে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আগাগোড়া বিজেপির বিরুদ্ধে ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন। তার বক্তব্যে উঠে এসেছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন থেকে রাজ্যের রাজ্যপাল সম্পর্কে তীব্র প্রতিক্রিয়া।
যদিও শুক্রবারের সভা ছিল গত ৩০জুন কেশিয়াড়িতে হুল দিবসে বিজেপির সাংসদ দিলীপ ঘোষ ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভার পাল্টা সভা। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ, তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য, মন্ত্রী মানসরঞ্জন ভুঁইয়া-সহ অনেকেই। প্রথম থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন নেতৃত্বরা। ১৯৯৩ সালের একুশে জুলাইয়ের ঘটনা তুলে ধরার পর বিজেপি ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। বিজেপি সম্পর্কে কুনালের মন্তব্য," বিজেপি মানে কোন বিজেপি ? একদিকে সুকান্ত মজুমদার বিজেপি আর অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ বিজেপি।" বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রীদের দলবদল নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। তার মন্তব্য," প্লেনে গিয়ে দলবদল করলেন। এখন তারা দিদিকে বলছেন অটো পাঠান দলে ফিরে আসি।" এরপরেই শুভেন্দুকে একাধিক বিশেষণে দেগে কুনালের বক্তব্য," শুভেন্দু অধিকারী একটা চোর, তোলাবাজ, ব্ল্যাকমেলার। ওকে কলার ধরে এরেস্ট করাব।" শুভেন্দুকে বিজেপি প্রথম 'চোর' বলেছিল।
দুবছর করোনার কারনে একুশে জুলাই হয়নি। তাই বাড়তি উন্মাদনা নিয়ে ধর্মতলা যাওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন," একুশে জুলাই শপথ নেবে তৃণমূল। অনেক তো প্রধানমন্ত্রী দেখেছেন। ২০২৪ সালের পনের অগস্ট লালকেল্লায় হাওয়াই চপ্পল পরা, তাঁতের শাড়ি পরা বাংলার মেয়ে ভাষণ দেবেন।"
উপস্থিত ছিলেন দেবাংশুও। তিনিও বিজেপি সরকারের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন।, জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অজিত মাইতি, সভাপতি সুজয় হাজরা ও অন্যরা। তবে এদিন কেশিয়াড়ির বিধায়ক পরেশ মুর্মু, ফটিকরঞ্জনপাহাড়ি-সহ কেশিয়াড়ির অন্যান্য নেতৃত্বদের মঞ্চে দেখা যায়নি। তবে ব্লক তৃণমূলের সভাপতি অশোক রাউত বলেন," বিধায়ক অসুস্থ থাকায় আসতে পারেননি। দ্বন্দ্বের কোনও বিষয় নেই।"