বৃক্ষ রোপণ ও ফলের বীজ ছড়িয়ে বনমহোৎসব পালন পশ্চিম মেদিনীপুরে

author-image
Harmeet
New Update
বৃক্ষ রোপণ ও ফলের বীজ ছড়িয়ে বনমহোৎসব পালন পশ্চিম মেদিনীপুরে

নিজস্ব প্রতিনিধি -বৃক্ষ রোপণ ও ফলের বীজ ছড়িয়ে বনমহোৎসব পালন পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর সদরের গুড়গুড়িপালে। বৃহস্পতিবার গুড়গুড়িপালের বিস্তীর্ণ জঙ্গলে আম, কাঁঠালের বীজ ছড়ালো গুড়গুড়িপাল স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা।১৪-২০ জুলাই বনমহোৎসব উপলক্ষ্যে রাজ্য জুড়ে চলছে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচী। মেদিনীপুর বনবিভাগের বনকর্মীদের সংগঠনের অরণ্য শাখার পক্ষ থেকেও গুড়গুড়িপাল ইকো পার্কে বৃক্ষ রোপণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অনুপ মান্না, সম্পাদক প্রকাশ মজুমদার, সুশান্ত রায়। সংগঠনের সম্পাদক মলয় নন্দী বলেন, "অনেকেই বৃক্ষ রোপণ করে কিন্তু যত্ন নেয় না। রোপণের পাশাপাশি যত্নের দিকটা একটু লক্ষ্য রাখলেই সবুজে ভরে উঠবে মেদিনীপুর।" এদিন গুড়গুড়িপাল স্কুলের কর্মসূচীতেও অংশ নেন বনকর্মীরা। স্কুলের শিক্ষক ব্রজদুলাল গিরি, লাল্টু জানার উদ্যোগে দুই কুইন্ট্যাল ফলের বীজ সংগ্রহ করেছিল ছাত্র ছাত্রীদের মাধ্যমে।

বাড়িতে আম, কাঁঠাল ফল খাওয়ার পর বীজগুলো স্কুলে আনার নির্দেশ দিয়েছিলেন ওই শিক্ষকরা। প্রধান শিক্ষক গৌতম ভৌমিক বলেন, "অরণ্যের ঘনত্ব দিন দিন কমছে। তাই বৃক্ষ রোপণের পাশাপাশি ছড়িয়ে দেওয়া বীজ থেকেও গাছ হলে কিছুটা হলেও এলাকায় অরণ্যের ঘনত্ব বৃদ্ধি পাবে।" শুধু আম, কাঁঠাল বীজ কেন? শিক্ষক ব্রজদুলাল গিরি, লাল্টু জানা বলেন, "এই এলাকায় হাতির উপদ্রব। প্রতিনিয়ত হাতির হানা লেগেই থাকে। সম্প্রতি ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বহু বাড়ি ভাঙার পাশাপাশি মানুষের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। তার মূল কারণ জঙ্গলে খাদ্যের অভাব। হাতি খায় এমন ফল গাছ নেই জঙ্গলে। এমনকি কমেছে জঙ্গলের ঘনত্বও। ফলে খাবারের খোঁজে লোকালয়ে হানা দিচ্ছে হাতির পাল। হাতিকে যতটা সম্ভব জঙ্গলে আটকে রাখা যায় তার জন্য আম কাঁঠাল বীজ ছড়ানো হয়েছে। গাছগুলি হলে হাতির খাদ্যের চাহিদা কিছুটা হলেও মিটবে।" স্কুলের এই কর্মসূচীতে চারা গাছ সহ জঙ্গলে ছাত্র ছাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে সাহায্য করেছে বন দফতর।গুড়গুড়িপালের ভারপ্রাপ্ত বীট অফিসার সুশান্ত ঘোষ বলেন, "স্কুলের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। এই ভাবে সকলে এগিয়ে এলে বন ও বন্যপ্রাণী দুই রক্ষা পাবে।"