হাবিবুর রহমান, ঢাকাঃ ঈদে বাড়ি ফেরার জন্য ঘরমুখো হাজার হাজার মানুষ শেষ মুহূর্তে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। নাড়ির টানে ঘরমুখো মানুষের যেন ভোগান্তির শেষ নেই। ঢাকার কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলস্টেশনে শনিবার প্রচণ্ড ভিড়। ভিড়ের কারণে ট্রেনের দরজা দিয়ে উঠতে না পেরে জানালা দিয়ে উঠেছেন। আর আসনবিহীন গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে এবং ছাদে উঠেছেন ঝুঁকি নিয়ে। ট্রেনে উঠার পর দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা ও ছাদে বসে থাকতে থাকতে শরীরটা যেন বেঁকে গেছে সবার। বয়স্ক নারী-পুরুষের ক্ষেত্রে এ সমস্যা আরও প্রকট। জায়গা কম থাকায় নড়াচড়ার সুযোগ নেই বললেই চলে। আর নড়াচড়া করার চেষ্টা করলে ঝাঁকুনিতে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গন্তব্যে কখন পৌঁছাতে পারবেন জানা নেই ঘরমুখো মানুষগুলোর। তবুও ট্রেনে চড়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে ছুটে চলেছেন তারা। এরই মধ্যে বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনগুলোর শিডিউল বিপর্যয় ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে। এমন যাত্রা বিড়ম্বনায় পড়ে গরম আর দীর্ঘ অপেক্ষায় ক্লান্ত ও বিরক্ত কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলস্টেশনে আসা উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনগুলোতের যাত্রীরা। ট্রেন আসলেই হাজার হাজার যাত্রী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে, ইঞ্জিনে ও দরজায় দাঁড়িয়ে ছুটে চলেছেন ঘরমুখো মানুষ।
এদিকে ট্রেনের ছাদে প্রখর রোদ। তপ্ত সূর্য যেন বাতাসে তাপ ঢালছে। ট্রেনের ছাদে করে ফেরা ঘরমুখো মানুষগুলো যেন গরমে সিদ্ধ হয়ে যাচ্ছেন। এরমধ্যে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ট্রেনের ভেতরের অবস্থাও অত্যন্ত করুণ। কোনো ট্রেনে আসন ফাঁকা নেই। ট্রেনের ভেতরে তিল ধারণেই ঠাঁই নেই। ট্রেনের ভেতরে বসা বা দাঁড়িয়ে থাকার স্থান না পেয়ে ঘরমুখো মানুষগুলো ট্রেনের ওপর আসন পেতে বসে নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে ছুটে চলেছেন। শনিবার কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তির এমন চিত্র দেখা যায়।