মূক ও বধির কন্যার বিবাহের ব্যাবস্থা করে মানবিকতার নজির গড়ল দুর্গাপুরের তিন গৃহবধু

author-image
Harmeet
New Update
মূক ও বধির কন্যার বিবাহের ব্যাবস্থা করে মানবিকতার নজির গড়ল দুর্গাপুরের তিন গৃহবধু

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মূক ও বধির কন্যার বিবাহের ব্যাবস্থা করে মানবিকতার নজির গড়ল দুর্গাপুরের তিন গৃহবধু। শনিবার সকালে দুর্গাপুরের প্রান্তিকা সংলগ্ন মন্দিরে ওই দুঃস্থ মূক ও বধির মহিলার বিবাহের আয়োজন করা হয়। পাত্র-পাত্রী দুজনেই বিশেষভাবে সক্ষম। পাত্রী যেখানে সম্পূর্ণ ভাবে মুক ও বধির। তেমনই পাত্ররও রয়েছে কথা বলার সমস্যা। কিন্তু ওই দুই জনের ইচ্ছে ছিল সংসার ধর্ম পালনের। আর সেই চার হাতকে এক করতে উদ্যোগী হন দুর্গাপুরের তিন গৃহবধু। দুর্গাপুরের তিন বন্ধু বিধান নগর নিবাসী মনি চৌধুরী, সেপকো নিবাসী শম্পা গিরি ও বেনাচিতি নিবাসী বুলু মন্ডল এই বিবাহের সম্পূর্ণ খরচা বহন করেন। প্রসঙ্গত বেনাচিতির গোঁসাইনগর নিবাসী  শম্পা গিরি তাঁর দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের কাছ থেকে জানতে পারেন ৩৪ বছর বয়সী রাখি যাদব সম্পূর্ণভাবে মূক ও বধির। বাবা মারা যাওয়ার পর গোঁসাইনগরের ঘর বিক্রি করে মা ও মেয়ে কোনোক্রমে বর্তমানে মায়াপুরে একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছিলেন। বিবাহযোগ্যা কন্যা থাকলেও আর্থিক সচ্ছলতা না থাকার কারণে মেয়ের বিয়ে দিতে সক্ষম হচ্ছিলেন না মেয়ের মা । পাশাপাশি মেয়ে বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন হওয়ার ফলে সেভাবে তাঁকে কেউ বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিল না । এই কথা শোনা মাত্র শম্পাদেবী তাঁর দুই বন্ধু মনি চৌধুরী ও বুলু মণ্ডলকে সব কথা জানান । তারপরেই তিন জনের প্রচেষ্টায় পাত্র খোঁজা থেকে শুরু করে বিয়ের আসর পর্যন্ত সমস্ত খরচ বহন করার সিদ্ধান্ত নেন তারা । আর যেমন ভাবা তেমনই কাজ । তিন জনের প্রচেষ্টায় অবশেষে দুর্গাপুরের বেনাচিতির সুভাষ পল্লির বাসিন্দা ৩৬ বছর বয়সী মুন্না যাদবের সঙ্গে বিবাহের ব্যবস্থা করা হয় রাখি যাদবের। মন্দিরে বিয়ের যাবতীয় খরচাই বহন করেন তিন বান্ধবী । শুধু তাই নয় আগামী দিনেও দম্পতির পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন তারা।