২০ লক্ষ চারা গাছ রোপনের লক্ষ্য নিয়ে পালিত হবে বনমহোৎসব

author-image
Harmeet
New Update
২০ লক্ষ চারা গাছ রোপনের লক্ষ্য নিয়ে পালিত হবে বনমহোৎসব

দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : পশ্চিম মেদিনীপুরে জনসাধারণের মধ্যে আট লক্ষ চারা গাছ বিতরণ করবে বন দফতর। ২০ লক্ষ চারা গাছ রোপনের লক্ষ্য নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে পালিত হবে বনমহোৎসব। ১৪ থেকে ২০ জুলাই এক সপ্তাহ ধরে চলবে চারা গাছ বিতরণ ও লাগানো। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরবে প্রচার ট্যাবলো। বন দফতরের জমিতে চারা গাছ লাগানোর পাশাপাশি জনসাধারণদের মধ্যেও আট থেকে দশ লক্ষ চারা গাছ বিতরণ করা হবে জেলায়। যত বেশি সম্ভব গাছ লাগানোর চেষ্টায় বন দফতর।




 বন দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, 'জেলার তিনটি বনবিভাগে মোট ২০ লক্ষ চারা গাছ তৈরি করা হয়েছে, যা অন্যান্যবারের থেকে অনেকটা বেশি। চারা গাছের জন্য বন দফতরে এসে খালি হাতে ঘুরতে হবে না আর কাউকে। প্রত্যেককে পাঁচটি এবং প্রতিষ্ঠানগুলিকে একশোটি করে চারা গাছ দেওয়া হবে। পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ, বিধায়করাও পাবেন চারা।' গাছ লাগানোতে এবার পঞ্চায়েত স্তরের জনপ্রতিনিধিদেরও এগিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন জেলার বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ নেপাল সিংহ। তিনি বলেন, 'জেলার সমস্ত সরকারি ফাঁকা জমিতে চারা গাছ লাগানো হবে। বন দফতর এবারে ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। জনপ্রতিনিধিরাও জনসাধারণকে উৎসাহিত করার জন্য এগিয়ে আসছেন। বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয় মানুষজন দেখেছেন। তা মোকাবিলার ক্ষেত্রে গাছের গুরুত্ব কতখানি তাও টের পেয়েছেন।' বিপর্যয় মোকাবিলায় জনসাধারণ এবারে গাছ লাগানো এবং রক্ষায় অনেক বেশি সতর্ক বলে জানান তিনি। জানা গিয়েছে, বনমহোৎসবে মেদিনীপুর বন বিভাগ থেকেই তিন লক্ষ চারা বিতরণ হবে সাধারণের মধ্যে। মেদিনীপুর বনবিভাগের বিভিন্ন রেঞ্জ অফিসগুলিতে ইতিমধ্যে সেই চারা তৈরিও হয়েছে। আম, পেয়ারা, জাম, বেদানা, পিয়াশাল, কদম, বহেড়া, মহুল, শিশু ইত্যাদি চারা তৈরি করা হয়েছে। গাছ লাগানো এবং তাঁকে যত্ন নিয়ে বাঁচানোর সচেতনতা মূলক প্রচারের জন্য বিভিন্ন এলাকায় ঘুরবে ট্যাবলো।