হরি ঘোষ, জামুড়িয়া: পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির জেরে আবার প্রাচীন যুগে চলে যাচ্ছে বর্তমান প্রজন্ম। বহু উর্বর ধান জমিতে না ও হতে পারে ধান চাষ।
এমনই অভিযোগ যারা মোটরবাইক চালাচ্ছেন তারা বাধ্য হয়ে সাইকেলে ফিরে যাচ্ছে।আবার যারা চাষাবাদের কাজের সঙ্গে যুক্ত তারা ট্রাক্টর ছেড়ে বা মেশিনপত্র ছেড়ে সেই পুরনো লাঙ্গল গরুর গাড়ি এবং ঢেঁকিতেই ভরসা রাখছেন। চড়া মূল্যের পেট্রো মূল্যে বাজারে চালানো যাচ্ছে না। এক ফসলী চাষের জন্য তিনবার করে জমিতে লাঙ্গল চালাতে হয় কিংবা ট্রাক্টর চালাতে হয় সেক্ষেত্রে বহুল খরচ পড়ছে এই মূল্য বৃদ্ধি কারণে। কিন্তু শারীরিক পরিশ্রম এবং গরু লাঙ্গল ব্যবহার করলে তুলনায় খরচ অনেকটাই কম। তাই যারা গরুর বিক্রী করে যারা ট্রাক্টর কিনেছিলেন। তারা এখন নতুন করে গরুর সন্ধান করে গরু কিনে আবার লাঙ্গল চালাচ্ছেন। অন্যদিকে ধান ঝাড়াই মেশিনের ক্ষেত্রেও একই সমস্যা।
জামুড়িয়ার বাহাদুরপুর অঞ্চলের চাষি দীপক পাল,দীপক মন্ডল,হরেরাম মন্ডল জানান প্রতিবছর ট্রাক্টর এর সাহায্যে জমির মাটি তৈরি করা হয়। গত বছর ঘন্টায় ৭০০ টাকা নিত ট্রাকটারের মালিকরা। এবছর সেই টাকা বেড়ে সাড়ে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা হয়েছে। এক বিঘা জমিকে ধান চাষ যোগ্য করতে ট্রাক্টরের প্রায়ই তিন হাজার টাকা খরচা হচ্ছে এ বছর। তার উপর সার থেকে সমস্ত জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবছর লাভ হবে না বললেই চলে। কিন্তু নিজেরা পরিশ্রম করে গরু দিয়ে লাঙ্গল চালালে সারাবছরের খাবারের জন্য চাল তারা তৈরি করতে পারবেন। তাছাড়াও গত বছর থেকে সরকারিভাবে ধান কেনা হয়নি এর ফলে গতবছর তারা ধান চাষ করে ফোঁড়েদের মারফতে বিক্রি করে লোকসান করেছিলেন। চাষীদের দাবি এবছর বহু ধান জমি চাষ করতে পারবেনা ছোট চাষিরা।