নিজের শিল্পকর্মেই কেদার দর্শন যুবকের

দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : বাড়িতে বসেই কেদারনাথ দর্শন। চক-পেনসিল কেটে তৈরি হল কেদারনাথের মন্দির। এভাবেই কেদারনাথের মন্দির গড়ে তাক লাগালো চন্দ্রকোনার শুভজিৎ প্রামাণিক। মন্দিরের উচ্চতা ৫ সেন্টিমিটার, চওড়া ৩.৫ সেন্টিমিটার, আর তার মধ্যেই রয়েছে সূক্ষ্মভাবে মন্দিরের কারুকার্য।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড রঘুনাথপুরের যুবক শুভজিৎ প্রামাণিক, ছোট বেলা থেকে লেখাপড়ার মাঝে ছিল ছবি আঁকার ইচ্ছে। বর্তমানে ইংরেজিতে স্নাতক এবং বিএড সম্পন্ন করে বাড়ি থেকে বিভিন্ন কমপিটিটিভ পরীক্ষার প্রস্তুতির পাশাপাশি মাইক্রো আর্টের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জোরকদমে। প্রায় দু-আড়াই বৎসর ধরে মাইক্রো আর্টের কাজ শুরু করেছে শুভজিৎ। এর আগেও শুভজিৎ বেশ কয়েকটি হাতের সুদক্ষ কাজ করে তাক লাগিয়েছিল, স্লেট পেন্সিল কেটে বানিয়েছিল ক্ষুদ্রতম অশোক স্তম্ভ, আর তাতে তার ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডে নামও উঠেছিল। এমনকি করোনার সময় পেপার কাটিং করে এঁকেছিল দুর্গা সহ লক্ষ্মী,সরস্বতী কার্তিক গনেশ।শুধু তাই নয় শুভজিতের বাড়িতে সুন্দর সুন্দর হাতের কাজের ছড়াছড়ি। শুভজিত জানিয়েছে, দুবছর করোনার জেরে বন্ধ ছিল কেদারনাথ যাত্রা, এবছর পুনরায় তা চালু হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কেদারনাথ যাওয়ার ইচ্ছে। যাওয়া কবে হবে জানে না সে। কিন্তু বাড়িতে বসেই তার কেদারনাথ দর্শন তারই নিজের হাতের শিল্পকলা দিয়ে বানানো কেদারনাথ মন্দিরে। প্রায় ৮ ঘন্টার প্রচেষ্টায় সে তৈরি করেছ কেদারনাথ মন্দির।আর এই কেদারনাথের কারুকার্য তাক লাগিয়েছে এলাকার মানুষজনকে।