সুদীপ ব্যানার্জী, জলপাইগুড়ি: আবগারি দপ্তরের মহিলা আধিকারিকে হেনস্তা। অভিযোগের তীর তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে।ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি রোড এলাকায়। আবগারি দপ্তরের মহিলা আধিকারিককে হেনস্তার পাশাপাশি তাঁর গাড়ির চালককে তৃণমূল কার্যালয়ে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠল ময়নাগুড়ি রোড এলাকায়৷ ঘটনার প্রেক্ষিতে ওই মহিলা আধিকারিক ময়নাগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে , ঘটনার সঙ্গে দলের কেউ যুক্ত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমুলের সভাপতি কৃষ্ণ কুমার কল্যানী বলেন, ‘সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় দলের কেউ যুক্ত থাকলে আইন আইনের পথে চলবে৷ প্রশাসন যা ব্যাবস্থা নেওয়ার নেবে৷জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেল থেকে আবগারি দপ্তরের ডেপুটি কালেক্টর সুমনা দে-র নেতৃত্বে আবগারি দপ্তরের একটি দল ময়নাগুড়ি রোড এলাকায় নাকা তল্লাশি শুরু করে৷ রাত ১১ টা নাগাদ আবগাড়ি দপ্তরের কর্মীরা অন্য একটি ঘটনার খবর পেয়ে পাশের এলাকায় পৌঁছোন। সেসময় ওই মহিলা আধিকারিক গাড়ি নিয়ে ময়নাগুড়ি রোড এলাকাতেই ছিলেন। সেসময় মদ্যপ অবস্থায় ৩ ব্যক্তি ওই মহিলা আধিকারিককে হেনস্তা করে বলে অভিযোগ। কিছুক্ষন বাদে আরও ১০-১৫ জন সেখানে জড় হয়ে গালিগালাজ শুরু করে বলে অভিযোগ। অন্যদিকে ওই আধিকারীকের গাড়ি চালক ভাস্কর নমো শর্মাকে পাশের একটি তৃণমূল কার্যালয়ে আটকে রেখে মারধর করা হয়। পরে আবগাড়ি দপ্তরের অন্যান্য কর্মী এবং ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ খবর পেয়ে রাত দেড়টা নাগাদ তাদের উদ্ধার করে।সরকারি আধিকারিককে নিগ্রহ করার ঘটনার সঙ্গে নাম জড়িয়ে যাওয়ায় অসস্তিতেও শাসকদল। ময়নাগুড়ি ২ নাম্বার ব্লক তৃণমুল সভাপতি শিবশঙ্কর দত্ত বলেন, ‘অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। তবে তৃণমূলের কেউ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। ঘটনার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। দলের কেউ যুক্ত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তৃণমূলের তকমা গায়ে সাটিয়ে কেউ জোর দেখাবার চেষ্টা করলে আইন আইনের পথে চলা উচিত।’ অন্যদিকে ময়নাগুড়ি থানার আইসি তমাল দাস জানান, লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।