এখনও হুঁশ ফিরলো না চন্দ্রকোনা পৌরসভার

author-image
Harmeet
New Update
এখনও হুঁশ ফিরলো না চন্দ্রকোনা পৌরসভার

দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : রাজ্যের একাধিক জায়গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও হুঁশ ফেরেনি চন্দ্রকোনা পৌরসভার। পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে পথবাতিগুলির বিদ্যুৎ সংযোগ বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে। ফলে যেকোনও দিন ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। পৌরসভার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব বিরোধীরা।

 



রাস্তার ধারে যে সমস্ত পথবাতিগুলি লাগানো হয়েছে সেই পথবাতির সুইচ বোর্ডের প্যানেল বাক্স উধাও। গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য সড়কের ধার থেকে শুরু করে পৌর এলাকার সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ধারে অধিকাংশ বৈদ্যুতিক বাতির পোষ্টের সুইচ প্যানেল উধাও। এমনকি বিদ্যুতের পরিষেবার জন্য যে কাটআউট গুলি ব্যাবহার করা হয় সেগুলো খোলা অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। আতঙ্কে স্থানীয়রা। বর্ষা আসলেও হুঁশ ফেরেনি পৌরসভা থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ দফতরের। এর ফলে স্থানীয় মানুষজন থেকে শুরু করে পৌর এলাকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও পৌরসভার বিরুদ্ধে চরম গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে। এমনই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা পৌরসভায়।



চন্দ্রকোনা পৌরসভার গোঁসাইবাজার থেকে কলেজ রোড, সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডের রাস্তা, ঘাটাল-চন্দ্রকোনা রাজ্য সড়ক সহ একাধিক জায়গায় থাকা পৌরসভার ত্রিফলা বাতি স্তম্ভগুলি এমনই বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে। জনবহুল এলাকায় রাস্তার ধারে বিদ্যুতের খুঁটির প্যানেল বক্স উধাও, বেরিয়ে রয়েছে তার। হাত পড়লেই মহাবিপদ। যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটার পরেও হুঁশ ফিরছে না চন্দ্রকোনা পৌরসভার। যদিও এবিষয়ে পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রতিমা পাত্র জানান যে বিষয়টি তার নজরে এসেছে। কয়েকটি জায়গায় খোলা অবস্থায় রয়েছে বাতি স্তম্ভের বিদ্যুৎ সংযোগ। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। আর এনিয়ে পৌরসভার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিজেপি-সিপিআইএম।











বিজেপি নেতা সৌরভ দাস বলেন, 'দীর্ঘ দিন ধরেই এমন বেহাল অবস্থায় রয়েছে বাতি স্তম্ভগুলি। পৌরসভা এনিয়ে অনিহা প্রকাশ করে আসছে। এবিষয়ে পৌরসভাকে জানানো হলেও তারা কর্নপাত করেনি কারণ হয়তো তারা বিরোধীদের কথায় গুরুত্ব দিতে চায় না।' অপরদিকে সিপিআইএমের চন্দ্রকোনা এরিয়া কমিটির সম্পাদক রাজীব পালধীও পৌরসভার বিরুদ্ধে চরম গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। কলকাতা, নারকেলডাঙা, উলুবেড়িয়া থেকে বাঁকুড়া -একাধিক জায়গায় বিদ্যুতের সংযোগ খোলা অবস্থায় পড়ে থাকায় চার চারটি প্রাণ গেছে, এখন দেখার এইসব ঘটনা থেকে চন্দ্রকোনা পৌরসভা শিক্ষা নেয় কিনা।