নিজস্ব প্রতিনিধিঃ হুল দিবসের দিনেই জিৎপুর-উত্তরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নামকেশিয়া এবং ঘিয়াডোবা আদিবাসী গ্রামে বীর সিধু-কানু মূর্তির উন্মোচন করলেন আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। এইদিন তিনি প্রথমে বীর সিধু-কানুর মূর্তিতে মাল্যদান করে তাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। তিনি বলেন, “হুল দিবস ওরফে সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস আজ। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে অন্যতম উল্লেখযোগ্য একটি দিন। এইদিনই পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও বিহারের ভাগলপুর জেলায় সাঁওতাল বিদ্রোহ বা সন্তাল হুলের সূচনা হয়। এটি ছিল ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রথম সন্ত্রাস সঙ্গবদ্ধ আন্দোলন। ওই আন্দোলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বীর সিধু ও কানু। ইংরেজদের আমলে স্থানীয়রা মহাজন ও ব্যবসায়ীদের শোষণ ও নিপীড়ন এবং ব্রিটিশদের অত্যাচারের শিকার হয়। আর তার থেকে মুক্তির লক্ষ্যে এই আন্দোলনের সূচনা করা হয়। স্থানীয় জমিদার, মহাজন ও ইংরেজ কর্মচারীদের অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে একত্রিত ভাবে আন্দোলন গড়ে তোলে সাঁওতালরা। যার ফলে ইংরেজদের সিপাহীদের গুলিতে প্রাণ যায় বীর সিধুর এবং বীর কানুকে ফাঁসি দেওয়া হয়। আর তাদের স্মরণ করতেই প্রতিবছর এই দিনটি পালন করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বদায় আদিবাসী সমাজের পাশে রয়েছেন। তারা যাতে রাজ্য সরকারের প্রকল্প গুলির লাভ নিতে পারে তারই জন্য আদিবাসী গ্রামগুলিতে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প করা হচ্ছে”।এছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ফাল্গুনী কর্মকার ঘাসি, সহ সভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র, জেলা পরিষদ কর্মদক্ষ মহম্মদ আরমান, সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ভোলা সিং,পঞ্চায়েত প্রধান তাপস চৌধুরী, উপপ্রধান বন্দনা মন্ডল, সদস্য সুজিত মোদক, অপর্ণা রায়, রাসমণি বেশরা, শকুন্তলা মারান্ডি এবং রূপনারায়ানপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ মনজিৎ ধরা সহ আরও অনেকে।