নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ ড্রয়িং রুমে বসে কাজে মগ্ন বাড়ির সদস্যরা মূল দরজা দিয়ে সোজা ড্রয়িং রুমে ঢুকে বেসিনের তলায় ঘাপটি মেরে বসে বিশালাকার গোখরো। তা নজরে আসতেই হুলুস্থুলু কান্ড বেঁধে যায় গৃহস্থ বাড়িতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দীর্ঘ চেষ্টায় সাপ উদ্ধার করে বনদপ্তর। বুধবার রাতে বিশালাকার গোখরো সাপকে ঘিরে হুলুস্থুলু কান্ড বেঁধে যায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড তেঁতুলতলা বাজার গ্রামে। গ্রামের বাসিন্দা উৎপল পালধীর বসত বাড়ির ড্রয়িং রুমের বেসিনের নীচ থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৬ ফুট সাইজের একটি গোখরো সাপ।পরিবারের কর্তা উৎপল বাবু জানান, বুধবার রাত ন'টা নাগাদ বাড়ির ড্রয়িং রুমের মেঝেতে তারা স্বামী স্ত্রী বসে ছিলেন। হঠাৎ তার স্ত্রীর নজরে আসে বাড়ির মূল দরজা দিয়ে তাদের পাশ কেটে ড্রয়িং রুমে থাকা বেসিনের দিকে কিছু একটা গেলো। খটকা লাগতেই দুজনে লাঠি হাতে উঁকি মারতেই দেখেন বেসিনের তলায় এককোণে ঘাপটি মেরে বসে বিশালাকার একটি সাপ। আর তাতেই হতচকিত হয়ে পড়শিদের ডাক দিলে আশপাশের বাসিন্দারা ছুটে যায়। আর তারপরই হুলুস্থুলু কান্ড বেঁধে যায়,গর্জন শুনে বুঝতে অসুবিধে হয়নি যে ওটা কোনও বড় মাপের বিষধর সাপ। বেশ কয়েকজন লাঠিসোঁটা হাতে নিয়ে সাপটিকে ঘিরে রেখে খবর দেয় বনদপ্তরে।
খবর পেয়ে চন্দ্রকোনার ধামকুড়িয়া বিটের বিট অফিসার অসিত মন্ডল সহ দুজন কর্মী পৌঁছে যান তেঁতুলতলা বাজার গ্রামের উৎপল পালধীর বাড়িতে। ততক্ষণে বাড়ির বাইরে সাপ দেখতে ভিড় জমিয়েছে এলাকাবাসী। বেসিনের তলায় ঘাপটি মেরে বসে থাকা বিশালাকার সাপটিকে আয়ত্তে আনতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় বনদপ্তরের কর্মীদের। দীর্ঘক্ষনের চেষ্টায় বনদপ্তরে কর্মীরা বেসিনের তলা থেকে সাপটি বের করে আনতে সক্ষম হন এবং সাপটি উদ্ধার করে নিয়ে যান। বনদপ্তরের তরফে জানা যায়,সাপটির উচ্চতা আনুমানিক ৬ ফুট এবং জাতে গোখরো, শারীরিক পরীক্ষার পর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। অবশেষে হাঁফ ছাড়েন পালধীর পরিবারের সদস্যরা।