অরুণাচলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের বলি ১৭

author-image
Harmeet
New Update
অরুণাচলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের বলি ১৭

নিজস্ব সংবাদদাতা : অরুণাচলে টানা বৃষ্টি ও ভূমি ধসে মৃতের সংখ্যা বাড়লো আরো ২ জন। নিখোঁজ আরো ২। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, হলঙ্গিতে জল শোধনাগারে কর্মরত এক শ্রমিক মঙ্গলবার ভূমিধসে চাপা পড়েন। গভীর রাতে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। অন্যদিকে, পশ্চিম সিয়াং জেলায়, ট্রান্স অরুণাচল হাইওয়ে প্রকল্পে নিয়োজিত একজন নির্মাণকারী শ্রমিক দারলা গ্রামের কাছে ভূমিধসের বলি হয়েছেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তিটি আসামের লখিমপুর জেলার লালুকের বাসিন্দা তিলু কালান্দি নামে পরিচিত। এখন পর্যন্ত, অরুণাচল প্রদেশে এই বছরের বন্যা এবং ভূমিধসে ১৭ জন নিহত হয়েছেন। ১৪৪৮ ব্রিজ কনস্ট্রাকশন কোম্পানি (বিসিসি)তে নিযুক্ত ছয় শ্রমিককে সিয়াং জেলায় বন্যা পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।


 


পাপুম পারেতে ভূমিধসের কারণে চিম্পু-হলোঙ্গি রোড, সিয়াং-এ পাঙ্গিন-বোলেং রোড, পশ্চিম সিয়াং-এর বোলেং-রুমগং রোড এবং পশ্চিম কামেং-এর বালেমু-বোমডিলা রোড বন্ধ। পাপুম পারে জেলার পাদদেশে অবস্থিত অনেক গ্রাম ও শহর বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তারাসো, বালিজান, হলঙ্গি, কাকোই, দিরগা দাফলা এবং বোরহিলে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।পূর্ব সিয়াং জেলায়, উপচে পড়া সিবো কোরং নদীর জলে তীরের অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পাগলা নদীর জলে সিবুত গ্রামসহ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে।বৃষ্টিতে আবোতানি কলোনি, ডোকুম দনি কলোনি, ইএসএস কলোনি, আজিন কলোনি ও দারিয়া পাহাড়ের রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া পাগাতারা রোড ও ডনি পলো রোডও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাগাতারা এলাকায় সাতটি বাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কয়েকটি বাড়ি প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টির কারণে পানীয় জল সরবরাহ এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের টাওয়ারে প্রভাব পড়েছে, স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত। অনেক জেলায় কৃষি জমি ও উদ্যান ফসলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।রাজ্যের ৫২টি গ্রামে বন্যার কারণে সাত হাজারেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।বৃষ্টির জেরে ইটানগরে তিন দিনের জন্য সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রয়েছে।