অরুপ নন্দী, মেদিনীপুরঃ ১৪ থেকে ২০ জুলাই অরণ্য সপ্তাহে মেদিনীপুরবাসীর জন্য তিন লক্ষ চারা বরাদ্দ বন দফতরের। মেদিনীপুর বনবিভাগের বিভিন্ন রেঞ্জ অফিসগুলিতে ইতিমধ্যে সেই চারা তৈরিও হয়েছে। বুধবার থেকে বিতরণ করা হবে। আমফান ও ইয়াসের ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে গাছের। তার উপর করোনা পরিস্থিতিতে অক্সিজেনের হাহাকার বুঝিয়ে দিয়েছে গাছের গুরুত্ব। প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় গাছই যে একমাত্র সম্পদ তা পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘাবাসীও হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন। সাধারণদের জন্য তিন লক্ষ ছাড়াও বন দফতরের জমিতে কয়েক লক্ষ চারা গাছ লাগানো হবে।
এবারে যত বেশি সম্ভব গাছ লাগানোর চেষ্টায় মেদিনীপুর বনবিভাগের বনকর্মীরা। বনবিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শুধুমাত্র মেদিনীপুর ডিভিশন থেকেই সাধারণ মানুষদের তিন লক্ষ চারা গাছ বিতরণ করা হবে। চারা গাছের জন্য বন দফতরে এসে খালি হাতে ঘুরতে হবে না আর কাউকে। জানা গিয়েছে, প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচটি এবং প্রতিষ্ঠানগুলিকে একশোটি করে চারা গাছ দেওয়া হবে। মেদিনীপুর, ভাদুতলা, চাঁদড়া, পিড়াকাটা, লালগড়, গোদাপিয়াশাল সহ বিভিন্ন রেঞ্জে কয়েক লক্ষ শাল, সেগুন, পেয়ারা, জাম, আকাশমণি চারা তৈরি করা হয়েছে। গাছ লাগানো এবং তাঁকে যত্ন নিয়ে বাঁচানোর সচেতনতা মূলক প্রচারের জন্য বিভিন্ন এলাকায় ঘুরবে ট্যাবলো। মেদিনীপুর রেঞ্জের আধিকারিক পাপন মহান্ত জানিয়েছেন, আগামীকাল গোপগড় ইকো পার্কে ট্যাবলোর আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হবে। আমফান ও ইয়াসের ক্ষত পূরণের লক্ষ্যে অন্যান্যবারের তুলনায় এবারে দ্বিগুণ চারা গাছ তৈরি করা হয়েছে। মেদিনীপুর বনবিভাগ ছাড়াও খড়্গপুর বনবিভাগ থেকেও সাধারণদের জন্য কয়েক লক্ষ চারা গাছ বিতরণ করা হবে বলে বন দফতর থেকে জানা গিয়েছে।
পাশাপাশি বনভূমির গুরুত্ব বোঝাতে অঙ্কন ও প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে মেদিনীপুর বনবিভাগ। অঙ্কনে অংশগ্রহণ করতে পারবে ৬-১০ বছর বয়সের ছেলেমেয়েরা। বিষয় "বর্ষণমুখর দিন"।