প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দামোদর থেকে অবাধে বালি তুলছে মাফিয়ারা

author-image
Harmeet
New Update
প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দামোদর থেকে অবাধে বালি তুলছে মাফিয়ারা

নিজস্ব সংবাদদাতা, অন্ডাল : অবৈধ বালি উত্তোলন রোধে প্রশাসন যাই বলুক না কেন, বর্তমানের চিত্রটা আলাদা। জোর কদমে চলছে বেআইনি বালি উত্তোলন। অবৈধ বালি উত্তোলন শুধু নদীর অস্তিত্বই শেষ করছে না, রাজস্বেরও ব্যাপক ক্ষতি করছে। এছাড়া অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের কারণে নদী তীরবর্তী গ্রামের মানুষ খুবই আতঙ্কিত, তারা আশঙ্কা করছেন এভাবে বালি উত্তোলন চলতে থাকলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে এবং তাদের গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।অন্ডাল থানার অন্তর্গত মদনপুর গ্রামের গ্রামবাসীরা বেআইনিভাবে বালি তোলার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। গ্রামবাসীরা অন্ডাল থানা ও ব্লক অফিসারের কাছে বেআইনি বালি তোলার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন এবং বেআইনি বালি ব্যবসা বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন বলে গ্রামবাসীদের তরফে জানা যায়।











গ্রামবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে এলেন অন্ডাল থানার আধিকারিকরা। ঘটনাস্থল সরেজমিনে তদন্ত করতে মদনপুর ঘাটে পৌঁছেছেন অন্ডাল থানার ইনচার্জ শান্তনু অধিকারী ও অন্ডাল ব্লকের বিডিও। একটি সাধারণ তদন্ত পরিচালনার পর, অফিসাররা আবার ফিরে আসেন। তবে বালি উত্তোলনের বিষয়ে প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেবে তা নিয়ে যে বিভ্রান্তি ছিল তা কাটলো না। মদনপুর গ্রামের বাসিন্দা জয়ন্ত মিশ্র, রাজেশ বাউরি জানান, 'দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় বালি মাফিয়াদের অবৈধ বালি উত্তোলন চলছে। আশ্চর্যের বিষয় যে, প্রশাসনও এ বিষয়ে কোনো দৃঢ় পদক্ষেপ নেয় না, যে কারণে এ ধরনের মানুষের মনোবল বাড়ছে। আগে শুধু নদ-নদীতে বালি উত্তোলন করা হতো । এখন মাফিয়ারা গ্রামের খুব কাছ থেকে বালি তুলে নিয়ে যায়। এ কারণে শ্মশান ও শ্মশান কালী মন্দিরও ভেঙে পড়ার পথে।' তিনি আরও বলেন যে কোনো যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে বালি উত্তোলন করা যায় না, শুধুমাত্র ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বালি উত্তোলনের নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু বালি ব্যবসায়ীরা নিরবচ্ছিন্নভাবে বড় বড় মেশিন ব্যবহার করে প্রতিদিন শত শত ট্রাক বালি উত্তোলন করছে। বালি ঘাটে নির্বিচারে পাম্প ও জেসিবি মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। সোমবার স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ করলে ওই রাতেই আবার নির্ভয়ে বালি উত্তোলনের কাজ শুরু হয়। গ্রামবাসীর তরফে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগের পর মঙ্গলবার প্রশাসনের লোকজন বালি ঘাটে পৌঁছে তদন্ত করে। তিনি বলেন, 'কর্মকর্তারা তদন্তে আসার আগেই কীভাবে তথ্য মাফিয়াদের কাছে পৌঁছে যায় আমরা জানি না। যার কারণে ঘাটের মেশিনগুলো সরিয়ে ফেলা হয়।' অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও প্রশাসন এই ধরনের মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়,নাকি এবারও ধৃতরাষ্ট্রের ভূমিকা পালন করে তা দেখার বিষয়?