নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ সাপে কামড়ে ছিল পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে। প্রথমে ওঝার কাছে যায়। পরবর্তীতে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়েছিল পরিবার। আর তার খেসারত দিতে হল পরিবারকে। পরিবারের কুসংস্কারের জেরে মৃত্যু হল ছাত্রীর। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানার দশগ্রাম অঞ্চলের খাজুরী গ্রামে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরে ওই ছাত্রীকে সবং গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, সেখানে ভর্তি করার কিছুক্ষণ পরেই মৃত্যু হয় ওই ছাত্রীর। মৃত ছাত্রীর নাম সোমাশ্রী ভক্তা। বয়স ১৪ বছর। সোমাশ্রী খাজুরি এম.বি.কে.বি বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে,মঙ্গলবার দুপুরে বাড়িতে বসে টিভি দেখার সময় সোমাশ্রীর হাতে সাপ কামড় দেয়। প্রচন্ড জ্বালা হওয়ায় পরিবারের সদস্যদের পোকামাকড় কামড়ানোর কথা বলে। এরপর পরিবারের সদস্যরা ওই ছাত্রীকে স্থানীয় ওঝার কাছে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে প্রথমে বমি এবং পরে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েছিল ওই ছাত্রী। তারপরে পরিবারের সদস্যরা দেরি না করে সবং গ্রামীণ হাসপাতালে ওই ছাত্রীকে ভর্তি করে। সেখানে কিছুক্ষণ চিকিৎসা চলাকালীন তার মৃত্যু হয়। এদিকে এই খবর পেয়ে সবং থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে আজ অর্থাৎ বুধবার ময়নাতদন্তের জন্য খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত,সাপের কামড়ের পর হাসপাতালে না গিয়ে ওঝার দ্বারস্থ হওয়ার ঘটনা গ্রামাঞ্চলে প্রায়ই ঘটে থাকে। একবিংশ শতাব্দীতেও এই কুসংস্কারের জন্য সচেতনতার অভাবকেই দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা।