নিউজ ডেস্ক, কেশিয়াড়িঃ সরকারি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধান ও এক্সিকিউটিভ অফিসারের বিরুদ্ধে। কেশিয়াড়ির কুসুমপুর পঞ্চায়েতের ঘটনা। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে পঞ্চায়েতটি বিজেপি দখলে নিলেও পরবর্তীতে প্রধান-সহ অন্যরা তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় বর্তমানে তৃণমূলের দখলে এসেছে পঞ্চায়েতটি। সেই পঞ্চায়েতের প্রধান ও অন্যদের বিরুদ্ধে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ আনলেন পঞ্চায়েতের উপ-প্রধানই। তবে ঘটনায় তৃণমূলের দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব প্রকট হয়েছে। পঞ্চায়েতের উপ প্রধান ভবানী প্রধানের অভিযোগ, গত ফেব্রুয়ারি মাসে পঞ্চায়েত অফিস রঙ করার জন্য টেন্ডার হয়। ওয়ার্ক অর্ডারও বেরায়। মোট ধার্য মূল্য প্রায় ২ লক্ষ টাকা। কিন্তু কয়েকমাস অতিবাহিত হলেও অফিস রঙ হয়নি। গত কয়েকদিন আগে বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন উপ-প্রধান। তার অভিযোগ, তিনি জানতে পেরেছেন কাজ না করে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। সে টাকা ঢুকেছে ঠিকাদারের হাত ঘুরে পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভ অফিসার ফুলেশ্বর মান্নার পকেটে। ঘটনায় শোরগোল পড়েছে। জানা গিয়েছে, উপ-প্রধান ভবানী ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্ব ফটিকরঞ্জন পাহাড়ির অনুগামী। অন্যদিকে প্রধান সোনালী ঘোড়াই ব্লক তৃণমূলের সভাপতি অশোক রাউতের অনুগামী। উপ-প্রধান বলেন, " বিডিওকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। কাজ না করে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। নয়ছয়ে কারা জড়িত, তদন্ত হোক। রঙ হোক অফিস বিল্ডিং"। তবে অভিযোগ মানেননি ফুলেশ্বর। তিনি বলেন," টেন্ডার হয়নি। কাজ তো দূরের কথা। অভিযোগ ঠিক না। কেন এই অভিযোগ তুলছেন জানা নেই। পঞ্চায়েত উপ-প্রধান বিডিওকে অভিযোগ জানিয়েছেন। প্রশাসন তদন্ত করে দেখবে দুর্নীতি হয়েছে কি হয়নি।" তবে যুগ্ম বিডিও প্রবীরকুমার দত্ত জানান, ঘটনার সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে।