নিজস্ব সংবাদদাতা, সবংঃ চাঁদকুড়ি-দশগ্রাম রাজ্য সড়কের উপর বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী বড়োসড়ো ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হয়। গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে,সেই উদ্দেশ্য বানচাল করল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানার পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার রাতে। পুলিশের তৎপরতায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন সবং এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সবং থানার পুলিশ আধিকারিকরা চাঁদকুড়ি-দশগ্রাম রাজ্য সড়কের উপর টহল দেওয়ার সময় একটি পিকআপ ভ্যান দ্রুত গতিতে বেরিয়ে যায়। সেই সময় কর্মরত পুলিশ আধিকারিকদের সন্দেহ হওয়ায় এলাকার সিভিক পুলিশ কর্মীদের নিয়ে ওই পিকআপ ভ্যানের ধাওয়া করে। কিন্তু কয়েক কিলোমিটার যাওয়ার পর পুলিশের নজর এড়িয়ে লুকিয়ে যায় পিকআপ ভ্যানটি। পরবর্তীতে চাঁদকুড়ি ও দশগ্রাম দুই এলাকার স্থানীয় সিভিক কর্মীদের এলার্ট করেন পুলিশ আধিকারিকরা। তারপর এলাকায় রাতভর তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। সেই সময় পুলিশকে দেখতে পেয়ে গাড়িতে থাকা বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী মাঠ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখনই পুলিশ ও স্থানীয় সিভিক কর্মীরা ওই দুষ্কৃতীদের পেছনে ধাওয়া করে ছয় জনকে ধরে ফেলে। তারপর তাদেরকে সবং থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ব্যাপারে সবং থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক (OC) সুব্রত বিশ্বাস জানিয়েছেন, ভোররাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। থানার পুলিশ আধিকারিক ও স্থানীয় সিভিক পুলিশ কর্মীদের প্রচেষ্টায় বড়োসড়ো ডাকাতির ছক বানচাল করা হয়। এর পাশাপাশি ওই পিকআপ ভ্যানটিতে তল্লাশি চালিয়ে চুরি,নিমচা,ভোজালি সহ ডাকাতির প্রচুর ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে পিকআপ ভ্যানটি। এই ঘটনায় ছয় যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম ১: সাদিক সেখ ২: ইকবাল হোসেন ৩: সাইরুল মোল্লা ৪: খুরশীদ আনসারী ৫: বচ্চন মাজী ৬: এমডি ইস্তাক। এদের প্রত্যেকের বাড়ি কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন এলাকায়। ধৃতদের শনিবার মেদিনীপুর জেলা আদালতে তোলা হয়েছে। এর পাশাপাশি পুলিশ আধিকারিকরা জানার চেষ্টা করছে কিভাবে এবং কোথা থেকে তারা আগ্নেয়াস্ত্র পেল। এর পিছনে কোনও বড় চক্রের হাত আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।