New Update
নিজস্ব সংবাদদাতা, পাশ্চিম মেদিনীপুরঃ এজেন্সির মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক সাফাই কর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন ২০১৬ সাল থেকে কিংবা তারপর থেকে। ২০২০'র অতিমারী পর্বে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর, তাঁদের মধ্যে কিছুজনকে ‘করোনা যোদ্ধা' বা ‘কোভিড ওয়ারিয়র' হিসেবে নিয়োগ করা হয় রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশে। সেই কাজও ছিল চুক্তি ভিত্তিক। তবে, এজেন্সির তুলনায় বেতন বা ভাতা ছিল প্রায় দ্বিগুণ, মাসিক ১৫ হাজার টাকা। ২০২০'র সেপ্টেম্বর থেকে এই বেতনেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ১৫ জন করোনা যোদ্ধা কাজ করছিলেন। এদিকে, করোনার প্রকোপ কমে যাওয়ায় বা অতিমারী চলে যাওয়ায়, ২০২২-এর ৩১ মার্চের পর পশ্চিম মেদিনীপুর সহ সারা রাজ্যের এই সকল করোনা যোদ্ধাদের সঙ্গে আর চুক্তি বাড়ায়নি বা নবীকরণ করেনি রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। অন্যদিকে, নতুন এজেন্সিও আর কাজে ফেরাতে আগ্রহী নয় এই কর্মীদের। এই পরিস্থিতিতে, উভয় সঙ্কটে পড়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ১৪ জন (একজন মারা গেছেন) কর্মী। তাঁরা পুনরায় এজেন্সির মাধ্যমে সাফাইকর্মী হিসেবে কাজে যোগদান করতে চেয়ে বারবার আবেদন-নিবেদন করেছেন। জানিয়েছেন সর্বত্র। কিন্তু, কোনও কাজ হয়নি।
বুধবার শালবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের (তৎকালীন, শালবনী করোনা হাসপাতালের) ৫ জন ‘কোভিড ওয়ারিয়র' বা ‘করোনা যোদ্ধা' অবস্থানে বসেছিলেন। সোমনাথ, সুমিত, সৌমেন, শম্পা, গোরীদের বক্তব্য, গত ২০১৬ সাল থেকে তাঁরা এজেন্সির সাফাই কর্মী হিসেবে শালবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। ২০২০ সালে করোনা আসে। শালবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল করোনা হাসপাতালে রূপান্তরিত হয়। তাঁরাও করোনা আক্রান্ত হন। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী করোনা আক্রান্তদের ‘কোভিড ওয়ারিয়র' হিসেবে সাময়িকভাবে করোনা হাসপাতালগুলোতে নিয়োগ করার পরামর্শ দেন। সেইমতো মাসিক ১৫ হাজার টাকা বেতনে এদের নিয়োগ করা হয়। সেই তালিকায় ছিলেন শালবনী সহ জেলার ১৫ জন (পরে একজনের মৃত্যু হয়)। এদিকে, চুক্তি অনুযায়ী, করোনা পর্ব পেরিয়ে আসার পর তাঁদের কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে মহাবিপদে পড়েছেন এই ধরনের কর্মীরা। সোমনাথ, শম্পা প্রমুখের দাবি, “গত ২ মাস আমাদের কোনও কাজ নেই। আমরা সংসার চালাতে পারছি না।"
west bengal
coronavirus
#COVID SITUATION
covid19
protest
paschim medinipur
state health department
covid warrior
salbani
salbani super speciality hospital
temporary worker