গাছ কাটার আইনের সরলীকরণের দাবিতে কেশপুরে বিক্ষোভ কাঠ ব্যবসায়ীদের

author-image
Harmeet
New Update
গাছ কাটার আইনের সরলীকরণের দাবিতে কেশপুরে বিক্ষোভ কাঠ ব্যবসায়ীদের

নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জঙ্গল নিধন বন্ধ করার জন্য প্রশাসন কড়াকড়ি নিয়ম করেছে গাছ কাটার ক্ষেত্রে। তাতেই চাপে পড়ে গিয়েছেন বিভিন্ন কাঠ, গাছ ব্যবসায়ীরা। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর বিডিও অফিসের পর বৃহস্পতিবার কেশপুর বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন গাছ ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি-  "নন ফরেস্ট এরিয়াতে ফরেস্ট আইন লাগু করা যাবে না, অন্তত চাষির গাছ কাটার ক্ষেত্রে আইনের সরলীকরণ করতে হবে।" 

                

গত ১৭ মে মেদিনীপুর শহরে প্রশাসনিক বৈঠক করার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গাছ কেটে অবৈধ পাচার রুখতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশের পর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বনদপ্তরের পক্ষ থেকে ৭০ টির বেশি কাঠ চেরাই মিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশি ধরপাকড়ে ১৯ জনের বেশি গাছ চোরাকারবারি গ্রেপ্তার হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে বহু কেটে ফেলা গাছ। এরফলে ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে দাবি করে বিক্ষোভে সামিল হল মেদিনীপুরের পূর্ব ও পশ্চিম জেলার কাষ্ঠ ব্যবসায়ী কল্যান সমিতি। গত দুদিন আগে দাসপুর বিডিও অফিসে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল তারা।

              

বৃহস্পতিবার সংগঠনের কেশপুর জোনের পক্ষ থেকে মিছিল করে বিক্ষোভ দেখানো হয় কেশপুর বিডিও অফিসে। কেশপুর কলেজের সামনে থেকে মিছিল করে কেশপুর বিডিও অফিসে বিক্ষোভ করে ডেপুটেশন দেয় তারা। সংগঠনের নেতা গৌরহরি সামন্ত বলেন, "প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক নিয়মের কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। চাষিদের গাছও কাটতে প্রচন্ড কড়াকড়ি। আমরা বহু চাষিকে গাছ লাগানোর জন্য গাছ দিয়ে থাকি। সেই গাছ বড় করে তারা আমাদের বিক্রি করে থাকেন। কিন্তু জঙ্গলের গাছ রক্ষা করতে গিয়ে সেই আইন লাগু করা হচ্ছে চাষির গাছের ক্ষেত্রেও। তাই আমাদের মত ব্যবসায়ী, ফার্নিচার ব্যবসায়ী, ও কাঠের ওপর নির্ভরশীল ব্যবসা মার খাচ্ছে। তাই অবিলম্বে এই আইনের সরলীকরণের দাবি করছি আমরা।"