হাবিবুর রহমান, ঢাকাঃ
বাংলাদেশে পদ্মা সেতু কোটি মানুষের স্বপ্নের সেতু। এটি কেবল সেতুই নয়, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা আর আত্মমর্যাদার প্রতীক। কোটি মানুষের সেই স্বপ্ন এখন বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে। অপেক্ষার প্রহর প্রায় শেষ। বহু প্রতীক্ষিত সেতুটি আগামী ২৫ জুন সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। পরদিন ভোর ৬টা থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে সেতুটি।
এই পদ্মা সেতুর কারণে ভাগ্যের দুয়ার খুলবে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের। খুলনা ও বরিশাল বিভাগসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলাকে এতদিন বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল পদ্মার বিপুল জলরাশি। উন্নয়নের সামনে যে পদ্মা এতকাল দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিল সেখানে বাস্তবে রূপ নিয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু।
দুই যুগের বেশি সময় ধরে প্রমত্তা পদ্মার ওপর একটি সেতুর অপেক্ষায় ছিলেন অবহেলিত দক্ষিণা-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। তাই পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে সেতুটি চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার যে উন্নতি ঘটবে, তা ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিপুল প্রসার ঘটাবে। এছাড়াও পদ্মা সেতুর দুইপাড়ে গড়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্র। শরীয়তপুর প্রান্তের জাজিরায় গড়ে উঠছে রেস্টুরেন্ট, রিসোর্ট, হোটেল, মোটেলসহ বিলাসবহুল বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।
তবে পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ঘিরে ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। একটি মহল নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক কিছু ঘটিয়ে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরাতে পারে বলে মনে করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ কারণে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সারা বাংলাদেশের প্রতিটি থানায় নির্দেশ পাঠানো হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকার জন্য। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ যাতে গুজব ছড়াতে না পারে সেজন্য সার্বক্ষণিক সাইবার মনিটারিং করা হচ্ছে। উদ্বোধনের দিন পদ্মার দুই পাড়েই শুধু ৫ হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ইউনিফর্মে মোতায়েন থাকবেন। সাদা পোশাকে তৎপর থাকবেন বিপুলসংখ্যক গোয়েন্দা সদস্য।