বিএসএফের সহায়তায় পরিজনের সঙ্গে শেষ দেখা

author-image
Harmeet
New Update
বিএসএফের সহায়তায় পরিজনের সঙ্গে শেষ দেখা

নিজস্ব প্রতিনিধি -ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলায়,সীমান্তবর্তী গ্রাম কিস্তোপুরে। গ্রামের প্রধান,সাজ্জাদ আলী, ৪৪ বাহিনীর সীমা চৌকি কিস্তোপুরের কমান্ডারকে বলেছিলেন যে, কিস্তোপুরের রুমি খাতুন নামে এক মহিলা ২০২২ এর ১২ জুন,কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে রাত ১২ টার দিকে মারা গিয়েছে।তাদের কয়েকজন আত্মীয় সীমান্তের ওপারে গ্রাম- চাঁদশিখারি, জেলা- চাঁপাই নবাবগঞ্জ বাংলাদেশে বসবাস করেন। গ্রামটি আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।যদি বিএসএফ সাহায্য করে, তবে তাদের আত্মীয় স্বজনরা সেই মৃত ব্যক্তির সঙ্গে শেষ দেখা করতে পারবেন।কমান্ডার তাদের কথা শুনে অবিলম্বে মানবিক ও মানসিক দিকের কথা মাথায় রেখে কোনো বিলম্ব না করে এই বিষয়ে প্রতিপক্ষ বাংলাদেশের 

বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

বিএসএফের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বিজিবিও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির কথা বিবেচনা করে এগিয়ে আসে।পারস্পরিক সহযোগিতার পরিপ্রেক্ষিতে, উভয় দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী মানবতাকে সর্বাগ্রে রেখে, বাংলাদেশে বসবাসরত আত্মীয়-স্বজনদের ১৩ জুন, সকাল ৮ টা থেকে ৮. ১৫ নাগাদ আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে জিরো লাইনে মৃত ব্যক্তির সঙ্গে শেষ দর্শনের ব্যবস্থা করে। দর্শন শেষে নিহতের আত্মীয় স্বজনরা সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এই উদ্যোগের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছেন যে, আপনাদের মানবিকতার কারণে আমরা আমাদের বোনের শেষ দর্শন পেয়েছি।







 ৪৪ তম বাহিনীর কমান্ডিং অফিসার বলেছেন যে, বিএসএফ জওয়ানরা দিনরাত সীমান্তে মোতায়েন থাকে এবং দেশের নিরাপত্তার পাশাপাশি সীমান্তের বাসিন্দাদের সুখ-দুঃখ সহ ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধেরও খেয়াল রাখে। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী অসৎ উদ্দেউদ্দেশ্যেশ্য যুক্তদের বিরুদ্ধে থাকলেও যখন মানবতা এবং মানবিক মূল্যবোধের কথা আসে, তখন তারা সাহায্য করতে সর্বদা প্রস্তুত থাকে।