New Update
নিজস্ব সংবাদদাতা, জামুরিয়াঃ এক যুবককে খুনের অভিযোগ উঠল জামুরিয়ায়। গতকাল স্থানীয়রা কেন্দা ফাঁড়িতে এসে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। গোটা ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃত যুবকের নাম সজল গোপ,বয়স ১৯ বছর। জামুরিয়ার চিঁচুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চিঁচুড়িয়া ডাঙ্গাল পাড়ার বাসিন্দা। মৃত যুবকের মা মমতা গোপ জানান, গত ৫ তারিখে তার ছেলে সজল গোপ বাজার গিয়েছিলেন। সন্ধ্যা আটটার সময় সে বাড়ি ফেরে। বাড়ি ফেরার প্রায় ১০ মিনিট পর তার বন্ধু চকতুলসি গ্রামের দীপঙ্কর মন্ডল তাকে ফোন করে ডাকে। দীপঙ্কর মন্ডলের ফোন পেয়ে সজল গোপ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।
সাড়ে নটার সময় সজল গোপকে ফোন করা হলে সজল জানান, তিনি তার বন্ধু দীপঙ্কর মন্ডলের সঙ্গে হিজল গড়ার গ্রামের কোন এক ইটভাটায় আছেন। আবার ১০ঃ৩০ নাগাদ সজলকে ফোন করা হলেও তাকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। বার বার ফোন করা হলেও সজল গোপের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। রাত প্রায় তিনটার সময় পুলিশের কাছ থেকে তার মায়ের মোবাইলে ফোন আসে যে সজলের দুর্ঘটনা হয়েছে। আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এরপরই তারা আসানসোল জেলা হাসপাতালে গিয়ে দেখেন সজল গোপ মারা গেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে তাদেরকে জানানো হয় যে দুর্ঘটনায় তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। মমতাদেবী অভিযোগ করেন যে তার ছেলেকে খুন করা হয়েছে। জয়ন্ত মন্ডল অভিযোগ করেন যে দুর্ঘটনা যদি হয়ে থাকতো তাহলে মোটর সাইকেলটির অল্পবিস্তর ক্ষতি হতো। কিন্তু তারা ফাঁড়িতে এসে দেখেন মোটর বাইকটি অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। তাছাড়াও মৃত সজল গোপের শরীরে কোনো ক্ষত চিহ্ন ছিল না। দুর্ঘটনাস্থল থেকে সজল গোপের চটি পাওয়া যায়নি। জয়ন্ত মন্ডল আরও অভিযোগ করেন যে দীপঙ্কর মন্ডল এবং তার সঙ্গে আরও দুইজন এই খুনের ঘটনায় জড়িত। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
এই বিষয় নিয়ে দীপঙ্কর মন্ডলের সঙ্গে কোনও ভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ সূত্রে খবর গত ৫ তারিখ রাত দুটো নাগাদ পুলিশের কাছে খবর আসে হিজলগড়া গ্রামের নিকট কাগুজে পুকুরের সামনে মোটর বাইক নিয়ে পড়ে রয়েছে এক যুবক। কেন্দা ফাঁড়ির পুলিশ এসে সজল গোপকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায়। জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা সজলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আসানসোল জেলা হাসপাতালে সজল গোপের ময়নাতদন্ত হয়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
west bengal
dead
jamuria
murder
investigate
asansol
local people
Young man
paschim bardhaman
kenda police