নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৭ মে প্রশাসনিক বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষীরপাই হালদারদীঘিতে বাস স্ট্যান্ডের আবেদন জানানোর পরেই নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করলো পূর্ত দপ্তর। আর এতেই খুশি ক্ষীরপাইবাসী। জানা যায় কয়েক দিন আগেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কাছে ক্ষীরপাই পৌরসভার চেয়ারম্যান দূর্গাশঙ্কর পান দাবি জানান ক্ষীরপাই হালদারদিঘী এলাকায় একটি বাস স্ট্যান্ডের। আর সেই দাবি মতই নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করল পূর্ত দপ্তর। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে শুভেন্দু অধিকারী পরিবহন মন্ত্রী থাকাকালীন ক্ষীরপাই হালদারদিঘীতে বাস স্ট্যান্ডের অনুমোদন পায়। সেই সময় p.w.d ক্ষীরপাই হালদারদিঘীর কাশিগঞ্জ মৌজায় ৪৩২৭ খতিয়ানে ১৩৫ ডেসিমল জমির মধ্যে ৭৮ ডেসিমল জায়গা পরিবহন দপ্তরকে হস্তান্তর করে কিন্তু অজানা কারণে বাস স্ট্যান্ডের কাজ থমকে যায়। এদিন বাস স্ট্যান্ডের জন্য নির্ধারিত জায়গা জরিফ করতে আসে পূর্ত দপ্তর। চন্দ্রকোনা ১ ভূমি দপ্তরের আধিকারিকদের সাথে নিয়ে পূর্ত দফতরের অফিসাররা এসে ক্ষীরপাই হালদারদিঘী এলাকায় বাস স্ট্যান্ডের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করেন এবং জায়গার দৈর্ঘ্য প্রস্থ উচ্চতা মেপে দেখেন। দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার মানুষজন দাবি তুলেছিলেন ক্ষীরপাই পৌর এলাকায় একটি বাস স্ট্যান্ড হোক কারণ ক্ষীরপাই হালদারদিঘী থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস যাতায়াত করে, হাজারো মানুষের আনাগোনা। কিন্তু ক্ষীরপাইয়ে কোনও বাস স্ট্যান্ড না থাকায় দাবি তুলেছিল এলাকাবাসী। অবশেষে এদিন পূর্ত দপ্তর জায়গা চিহ্নিতকরণ করতে আসায় আশায় বুক বাঁধছে এলাকার বাসিন্দারা।