নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কুতুব মিনারে মন্দির পুনরুদ্ধার করা হবে কিনা, আজ সেই সম্পর্কে রায় দেবে দিল্লির আদালত। কুতুব মিনারে হিন্দু মন্দির ও জৈন মন্দির পুনরুদ্ধারের দাবি জানিয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, মেহরাউলির কুতুব মিনার কমপ্লেক্সের মধ্যে অবস্থিত কুওয়াত-উল-ইসলাম মসজিদ একটি মন্দির কমপ্লেক্সের জায়গায় নির্মিত হয়েছিল বলে অভিযোগে জানিয়ে একটি মামলা দায়ের হয়। সেই মামলা প্রত্যাখ্যান করা হলে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পুনরায় আবেদন করা হয়। আবেদনকারীর অভিযোগ, ১১৯৮ সালে কুতুবউদ্দিনের শাসনকালে হিন্দু ও জৈন মিলিয়ে মোট ২৭টি মন্দির নিশ্চিন্তে করে দেওয়া হয়েছে। সেই ধ্বংসপ্রাপ্ত মন্দিরের জায়গায় গড়ে উঠেছে মসজিদ। এই মামলা গোড়াতেই থামিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ। জানানো হয়, মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য স্থাপত্য খনন করে মাটি তছনছ করা চলবে না। জৈন দেবতা তীর্থঙ্কর ভগবান ঋষভ দেব এবং হিন্দু দেবতা ভগবান বিষ্ণুর উপস্থিতি ছিল কুতুব মিনারের জায়গায়। এই দাবি জানিয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়। সেই আবেদনে বর্তমান কুতুব মিনারের জায়গায় পূর্বতন ২৭ টি মন্দির পুনরুদ্ধারের আবেদন করা হয়। মামলাকারীদের বক্তব্য অনুসারে কুতুবউদ্দিন আইবকের নির্দেশে এই মন্দিরগুলো ভেঙে ফেলা হয়, অপবিত্র করা হয় ও ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়। তারপর এই একই জায়গায় কুওয়াত-উল-ইসলাম মসজিদ তৈরি করান কুতুবউদ্দিন আইবক।