নিজস্ব সংবাদদাতাঃ সিবিআইয়ের খাতায় তিনি মৃত, সেই তিনিই কিনা আদালতে হাজিরা দিলেন ও বিচারককে জানালেন যে তিনি বেঁচে রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের সিওয়ান জেলায়। ৮০ বছরের ওই বৃদ্ধা একটি মামলার সাক্ষী। শুক্রবার তিনি মুজফফরপুরের এমপি-বিধায়ক আদালতে হাজির হন। ২০১৬ সালের ১৩ মে সিওয়ানে খুন হন সাংবাদিক রাজদেও রঞ্জন। এই হত্যার ঘটনায় প্রধান সাক্ষী বাদামী দেবী। ২৪ মে সিবিআই আদালতে তাঁর মৃত্যুর রিপোর্ট দাখিল করে। যদিও শুক্রবার বাদামী দেবী বিচারক পুনীত কুমার গর্গের সামনে হাজির হন ও জানান যে তিনি জীবিত রয়েছেন। আদালত সিবিআইকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে। বাদামী দেবী বলেন, "যখন আমি জানতে পারি যে সিবিআই আদালতে আমার মৃত্যুর রিপোর্ট দাখিল করেছে, আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। এটি আমার জন্য হতাশাজনক এবং বেদনাদায়ক ছিল। তারপর আমি ভোটার পরিচয়পত্র, প্যান কার্ড এবং আধার কার্ড নিয়ে আদালতে হাজির হয়েছিলাম।" ৮০ বছরের ওই বৃদ্ধার আইনজীবী শরদ সিনহা বলেন, "রাজদেও রঞ্জনের হত্যাকাণ্ডে প্রয়াত সাংসদ মহম্মদ শাহাবুদ্দিন সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছিল। এফআইআর অনুসারে, শাহাবুদ্দিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী লাদন মিয়ানকে রাজদেও রঞ্জনকে হত্যার সুপারি দেওয়া হয়েছিল। অভিযুক্তরা বাদামী দেবীর বাড়িতে নজর রাখছিল। তারা জোরপূর্বক তাঁর সম্পত্তি দখল করতে চেয়েছিল। রাজদেও রঞ্জন সাংবাদিক হিসেবে হিন্দি সংবাদপত্রের মাধ্যমে এই বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন। তিনি সিওয়ানের সেই পত্রিকার ব্যুরো চিফ ছিলেন। অভিযুক্তরা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল এবং ২০১৬ সালের ১৩ মে সিওয়ান স্টেশন রোডে তাঁকে হত্যা করেছিল।" আইনজীবী আরও বলেন, "বাদামী দেবী এই মামলার মূল সাক্ষী। সিবিআই যাচাই না করেই আদালতে তাঁর মৃত্যুর রিপোর্ট পেশ করেছে। এটি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সাহায্য করার একটি স্পষ্ট এবং গভীর ষড়যন্ত্র। বাদামী দেবীর উপস্থিতির পরে আদালত সিবিআইকে তিরস্কার করেছে। সিবিআইকে কারণ দর্শানোর নোটিশও জারি করেছে।"