নিজস্ব সংবাদদাতা : সমাজে নারীর মান প্রতিষ্ঠা করতে ও নারী শিক্ষা প্রসারের হাল ফেরাতে আশার আলো দেখাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রকল্পটি। এটি একটি প্রচার অভিযান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৫ সালের ২২ জানুয়ারি 'বেটি বচাও, বেটি পড়াও' প্রকল্পটির শুভারম্ভ করেন। যার লক্ষ্য হল কন্যা সন্তানের জন্য কল্যাণমূলক পরিষেবা প্রদানের দক্ষতা বৃদ্ধি তথা সচেতনতা সৃষ্টি। এই প্রকল্পটির জন্য ১০০ কোটি টাকা প্রাথমিক তহবিলে প্রদান করা হয়েছিল। ২০১৬ সালের ২৬ আগস্ট অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ মেডেল জয়ী সাক্ষী মালিককে এই প্রকল্পের প্রতিনিধি হিসাবে ঘোষণা করা হয়। এই যোজনার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল লিঙ্গ বৈষম্যর অনুপাত হ্রাস করা। এটি, মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় তথা মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় দ্বারা যৌথভাবে চালানো একটি জাতীয় উদ্যোগ। এই উদ্যোগে প্রাথমিকভাবে সমগ্র দেশের ১০০টি জেলাকে ধরা হয়েছিল, যেসব জেলার লিঙ্গ বৈষম্যতার অনুপাত বেশি। ২০১৪ সালের আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবসের দিন কন্যা ভ্রূণ হত্যা বন্ধের ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জায়গায় জায়গায় শিবির করে, কন্যা সন্তানদের বাঁচানো ও তাদের পড়াশোনা শেখানোর বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচরণার কাজ চলছে।