নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ডাইনোসর পৃথিবীর এক প্রাগৈতিহাসিক প্রাণী। যা বর্তমানে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। তবে বহু বছর, প্রায় ৬৫ মিলিয়ন বছর আগে এই প্রাণীর অস্তিত্ব ছিল এই পৃথিবীতে। এই যুগটিকে 'ক্রিটেসিয়াস' যুগ বলা হত। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ থেকে জানা যায় যে, পৃথিবীতে একটি গ্রহাণুর আঘাতের কারণে ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এর মানে হল যে জলবায়ুতে বড় ধরনের পরিবর্তন হয়েছে যা ডাইনোসররা মানিয়ে নিতে পারেনি। ডাইনোসররা উষ্ণ রক্তের নাকি ঠান্ডা রক্তের ছিল তা নিশ্চিতভাবে কেউ জানে না, কারণ এই বিষয়ে বিজ্ঞানীদের খুব মিশ্র মতামত রয়েছে। কোন সুনির্দিষ্ট উত্তর না থাকার কারণ হল ডাইনোসরের বিপাক সম্পূর্ণরূপে নির্ধারণ করার জন্য যথেষ্ট প্রমাণ নেই। এটা ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয় যে প্রায় ৭০০ টি বিভিন্ন প্রজাতির ডাইনোসর ছিল। এটাও বিশ্বাস করা হয় যে ডাইনোসররা প্রতিটি মহাদেশে বাস করত কারণ তাদের জীবাশ্ম সারা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় আবিষ্কৃত হয়েছে।
তবে পৃথিবীতে আজও ডাইনোসরের বংশধর রয়েছে, যেমন, টিকটিকি, কুমির এবং সাপ। ডাইনোসর দিবস প্রথম ২০১০ সালে প্রতিবন্ধী শিশুদের পরিবারগুলির জন্য একটি তহবিল সংগ্রহ হিসাবে শুরু হয়েছিল বলে মনে করা হয়। এটি বছরে দুবার পালন করা হয়, একবার মে মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার এবং আবার ১লা জুন। ডাইনোসর শিশুদের কাছে এক বিস্ময়কর প্রাণী। তাই হলিউডে এই ডাইনোসরকে নিয়ে বহু সিনেমা তৈরি হয়েছে যা ছোট-বড় সকলের মন জয় করে নিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল ''জুরাসিক ওয়ার্ল্ড''। বর্তমানে ডাইনোসরের জীবাশ্ম আমরা মিউজিয়ামে দেখতে পাই। তবে আশা করা যায় যে যুগের বিবর্তনে হয়তো ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আবারও ডাইনোসরের দেখা পাবে। তখন হয়তো হাতি, বাঘ, সিংহ এবং অন্যান্য প্রাণীদের সাথে একসাথে ডাইনোসরেরও দেখা মিলবে।