দিগ্বিজয় মাহালিঃ বৃদ্ধা মাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ছেলে, বৌমা এবং নাতিদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি মেদিনীপুর সদর ব্লকের কঙ্কাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতের নেপুরা এলাকায়। ৭০ বছর বয়সের ওই বৃদ্ধার স্বামী মারা গিয়েছেন। নিজের দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে বংশী ঘোষ কলাইকুন্ডা এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। ছোট ছেলে শশী ঘোষ মারা গিয়েছেন। বৌমা ও নাতি থাকেন নেপুরাতে। নাতিও সদ্য বিয়ে করেছেন। দুই ছেলের পরিবারেই পালা করে দিন কাটছিল এতদিন। বয়স বৃদ্ধি পাবার সঙ্গে সঙ্গে শারিরীক অসুস্থতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে বৃদ্ধার। এই কারণেই দুই ছেলের পরিবারের কেউ বৃদ্ধাকে আশ্রয় দিতে চাননি বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা জানান, বেশ কয়েক মাস ধরেই ওই বৃদ্ধা স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে থাকতেন। কিছুদিন বড় ছেলের কাছে গিয়েও থেকে ছিলেন। সেখানে বার্ধক্য ভাতার টাকা নিয়ে সমস্যা হওয়ায় বড় ছেলে তাকে তাড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ। তিনি সেখান থেকে এসে ছোট ছেলের বাড়িতে আশ্রয় নেন। কিন্তু সেখানেও ঠাঁই না পেয়ে ফের আশ্রয় নিতে হয়েছিল বিদ্যালয়ে। কখনও পরিবারের আবার কখনও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় জুটত খাবার। ঘটনার খবর পৌঁছায় গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশে। গুড়গুড়িপাল থানার ওসি শুভঙ্কর রায় এসে ওই বৃদ্ধাকে বাড়িতে ফেরান। এদিন পুলিশ ছোট ছেলের বাড়িতে বৃদ্ধার থাকার ব্যবস্থা করে। এই বিষয়ে ছোট ছেলের মেয়ে পুলিশকে বলেন, "বাবা মারা যাওয়ার পর ঠাকুমার দায়িত্ব জেঠু নিয়েছিল। আপনারা রেখে দিয়ে গেলেন, কোনো সমস্যা হলে আপনাদের বলব।" এই বিষয়ে স্থানীয়রা বলেন, “বড় ছেলে কর্তব্য পালন না করলে কি ছোট ছেলের পরিবারের কোনো কর্তব্য নেই? পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে আর একজনকে বাড়িতে রাখা যেতই”। স্থানীয়দের তরফে জানা গিয়েছে, পুলিশ পরিবারের সদস্যদের বৃদ্ধাকে বাড়িতে আশ্রয় না দিলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে। পাশাপাশি রেশন সহ অন্যান্য বিষয়ে সমস্যা হলে পুলিশ সেই সমস্যা নিষ্পত্তি করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।