নিউজ ডেস্ক, ঝাড়গ্রাম : গত শনিবার হলদিয়ার শ্রমিক সমাবেশ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন যে ঠিকাদারি করলে দল করা যাবে না। হয় ঠিকাদারি করতে হবে, নচেৎ দল করতে হবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দল থেকে ইস্তফা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বেলপাহাড়ি থানার সিমলা বুথের বুথ সভাপতি অভিজিৎ দত্ত। তিনি তৃণমূল কংগ্রেস করতেন দলের জন্মলগ্ন থেকে। আর ঠিকাদারি শুরু করেন দল ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হলদিয়ার সমাবেশে পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন ঠিকাদারি আর তৃণমূল কংগ্রেস একসঙ্গে চলতে পারে না। তাই দল ছেড়ে দিয়ে ঠিকাদারিকে বেছে নিলেন অভিজিৎ দত্ত। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা জানার পর কিছুটা সমস্যায় পড়েছিলেন অভিজিৎ দত্ত। তবে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেননি। রবিবার লিখিতভাবে দলের বিনপুর দুই নং ব্লক সভাপতির কাছে লিখিতভাবে দল ও পদ থেকে পদত্যাগ করার কথা জানিয়েছেন। অভিজিৎ দত্ত বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম লগ্ন থেকেই বুথের সভাপতি ছিলাম, দীর্ঘদিন ঠিকাদারি করছি। সংসার চালাতে তো টাকা লাগে। তাই ঠিকাদারি করব।' তৃণমূল কংগ্রেসের বিনপুর দুই নং ব্লকের সভাপতি বুবাই মাহাত বলেন, 'অভিজিৎ দত্ত পদ ও দল থেকে পদত্যাগ করার কথা জানিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম লগ্ন থেকে অভিজিৎ দল করতেন। ঠিকাদারি শুরু করেন ২০১১ সালে। ঠিকাদারির ফলে তার শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে। দশ - বারো লক্ষ টাকার টেন্ডারে তিনি অংশগ্রহণ করেন। বছরের দশ থেকে বারো টি কাজের বরাত পায়। সিমলা গ্রামে দোতলা বাড়ি, যৌথ পরিবার অভিজিৎ রায়ের উপর নির্ভরশীল। সেই জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পর ঝাড়গ্রাম জেলায় অনেকেই রয়েছেন যারা ঠিকাদারির পাশাপাশি তৃণমূল করেন তাদের ভূমিকা কী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।'