হাবিবুর রহমান, ঢাকাঃ করোনা মহামারির প্রকোপে বন্ধ হয়ে যাওয়া মৈত্রী এক্সপ্রেস ২ বছর পর ফের চালু হয়েছে। ঢাকা-কলকাতা আন্তর্জাতিক রেলপথে আজ রোববার মৈত্রী এক্সপ্রেস সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে যাত্রা শুরু করে। মৈত্রী ট্রেনটিতে আসন রয়েছে ৪৫৬টি। আর ১৭০টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে ভারতীয় যাত্রী আছেন ১৬ জন। আর একজন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন উদ্বোধন করেন রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার। একইসঙ্গে খুলনা-কলকাতা রুটে ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ চলাচল শুরু করেছে। এ সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, যুগ্ম মহাপরিচালক সালাউদ্দিন, ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ে কর্মকর্তা শফিকুর রহমান ও স্টেশন মাস্টার লিটন চন্দ্র উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ভারতে ভ্রমণকারী বাংলাদেশি যাত্রীদের প্রথম পছন্দ ট্রেন ভ্রমণ। দুই দেশের মধ্যে ট্রেন চালু হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে। বাসযাত্রায় ভোগান্তি অনেক আর বিমানে তো বেশি খরচ হয়। তাই নিরাপদ ও সাশ্রয়ী মাধ্যম বলতেই অনেকের পছন্দ ট্রেন। গত ২৩ মে থেকে কমলাপুর ও চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে আন্তর্জাতিক ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এছাড়া রেলপথের ভিসাও দেওয়া হচ্ছে। করোনার মহামারির কারণে বাংলাদেশ-ভারত যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয় ২০২০ সালের ২৪ মার্চ থেকে। এ সময়ে দুই দেশের মধ্যে সড়ক ও আকাশপথে যাত্রী ভ্রমণ থাকলেও রেলপথে ছিল না। এতে চরম বিপাকে পড়ে ভারত-বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ, যাদের অধিকাংশই ট্রেনে ভ্রমণ করতেন।
ঢাকা-কলকাতার মধ্যে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল শুরু হয় ২০০৮ সাল থেকে। বন্ধ হওয়ার আগে বৃহস্পতিবার বাদে সপ্তাহের সব দিনই এই ট্রেন চলাচল করত। অপরদিকে খুলনা-কলকাতা বন্ধন এক্সপ্রেস চালু হয় ২০১৭ সালে। বাংলাদেশ থেকে বৃহস্পতিবার ও রোববার দুই দিন এই ট্রেন ছেড়ে কলকাতায় আসবে। ভারত থেকে যাবে দুই দিন। রেলপথ মন্ত্রণালয় বলছে, ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিলে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে চলাচল শুরু করে মৈত্রী এক্সপ্রেস। এর মাধ্যমে ৪৩ বছর পর দুই দেশের মধ্যে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা শুরু হয় ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর।