সংবাদদাতা,অন্ডালঃ চলতি মাসের ২১ তারিখ একেবারে সিনেমার কায়দায় আসানসোলের ২ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে হাইজ্যাক হয় রড ভর্তি একটি লরি। বাঁকুড়ার একটা রডের কারখানা থেকে রড বোঝাই করে লরিটি গয়ার উদ্দেশ্যে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে যাচ্ছিল। হঠাৎ আসানসোলের কাছে একটা স্করপিও গাড়ি লরিকে আটকায়। স্করপিও গাড়ি থেকে ২ জন নেমে এসে লরির ড্রাইভারকে বলে তারা জিএসটি ডিপার্টমেন্ট থেকে এসেছে। গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চায় তারা। এমনকি ড্রাইভারকে বলা হয় যে, তাদের সন্দেহ লরিতে গাঁজা পাচার করা হচ্ছে। ড্রাইভার ও খালাসীকে নামিয়ে স্করপিও গাড়ির কাছে নিয়ে যাওয়া হয় এই বলে যে, সাহেবের সাথে কথা বলতে হবে। এমনটাই জানায় হাইজ্যাক হওয়া লরির ড্রাইভার শ্যামজিৎ কুমার । শ্যামজিৎ জানায় স্করপিওতে মোট ছয় জন লোক ছিল। লরিটির ড্রাইভার জানায় তাদেরকে স্করপিওর কাছে নিয়ে যাওয়া মাত্রই তাদের চোখ বেঁধে স্করপিও গাড়িতে চাপিয়ে নেওয়া হয় এবং গাড়ি করে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয় তারা কিছু বুঝতেও পারেনি। এমন সময় ভোরবেলা লরিটি কোনও কারনে খারাপ হয়ে যায়। স্করপিওতে থাকা ব্যক্তিরা তখন তাদের স্করপিও গাড়ি থেকে নামিয়ে লরিতে নিয়ে গিয়ে লরি ঠিক করায়। পরে আসানসোলের কালিপাহাড়ী এলাকার কাছে তাদের নামিয়ে দেওয়া হয় বলে জানায় হাইজ্যাক হওয়া লরির ড্রাইভার । এই হাইজ্যাকের খবর পৌঁছায় আসানসোল নর্থ থানায় । সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত শুরু করে আসানসোল নর্থ থানার পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ অন্ডালের তাপস মন্ডল নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। তাপস মন্ডল হাইজ্যাক হওয়া গাড়ির রড গুলি কিনেছিল। এই হাইজ্যাক এর পিছনে জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আসানসোল নর্থ থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার আসানসোল নর্থ থানার পুলিশ অন্ডাল এলাকা থেকে লরিটি সমেত উদ্ধার করে হাইজ্যাক হওয়া রডগুলি । উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণে লোহার রড। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় অন্ডালের মদন পুরের বাসিন্দা তাপস মন্ডলকে। এর সাথে সাথে গ্রেফতার হয় ওল্ড কবরস্থান রেলপারের বাসিন্দা মোহাম্মদ শানোয়াজ, রানীগঞ্জ তারবাংলা টিকিয়া পাড়ার বাসিন্দা হায়দার আলী, রানীগঞ্জ বল্লভপুর এর বাসিন্দা প্রশান্ত ধাঙ ও হরিপুরের বাসিন্দা মিরাজ খানকে।