দিগ্বিজয় মাহালিঃ তীব্র গরমের জেরে দেড় মাস স্কুল ছুটির ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। সেই ছুটির মাঝেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে চলছে 'দুয়ারে সরকার শিবির'। আর সেই শিবিরে বিভিন্নভাবে ফর্ম পূরণ করে সাহায্য করতে দেখা গেল বিদ্যালয়ের কন্যাশ্রী ক্লাবকে। তাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, গরমের জন্য বিদ্যালয়ে পড়াশোনা বন্ধ অথচ ছাত্র-ছাত্রীদের ডেকে কেন ফর্ম ফিলাপ করাতে হবে। “গরমের অজুহাতে কি সরকার চাইছে সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থায় ডামাডোল তৈরি করতে?” প্রশ্ন শিক্ষক সংগঠনগুলির। বৃহস্পতিবার এমনই চিত্র দেখা গেল গুড়গুড়িপালে। মেদিনীপুর সদর ব্লকের মনিদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের গুড়গুড়িপাল উচ্চ বিদ্যালয়ে দুয়ারে সরকার শিবির ছিল এদিন। আর সেই শিবিরে বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেতে আসা মানুষজনদের সহায়তা করল গুড়গুড়িপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের কন্যাশ্রী ক্লাব। ওই ছাত্রীরা জানিয়েছে, স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভান্ডার সহ বিভিন্ন প্রকল্পের ফর্ম পূরণে সহায়তা করছে তারা। অনেকেই বলছেন, বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পর বেশ কিছু বিদ্যালয়ে পরীক্ষা হওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষা দফতর ব্যবস্থা নিলে এই ক্ষেত্রে কেনও ব্যবস্থা শিক্ষা দফতর ব্যবস্থা নেবে না? বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌতম ভৌমিক এই বিষয়ে বলেন, "বিডিও অফিস থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তাই পাঠানো হয়েছে। তবে কাউকে জোর করা হয়নি। কেউ যেতে না চাইলে নাও যেতে পারে।" মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির জেলা সম্পাদক উত্তম প্রধান বলেন, "গরমের অজুহাতে সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে দিতে চাইছে। না হলে একদিকে যখন গরমের অজুহাতে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তখন সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীরা দুয়ারে সরকার শিবিরে তীব্র গরমের মধ্যে বারান্দায় বসে ফর্ম ফিলাপ করে যাচ্ছে।" নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওয়েস্ট বেঙ্গল তৃণমূল সেকেন্ডারী টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক নেতা বলেন, “এমনটা হওয়ার কথা নয়। বিষয়টা খোঁজ-খবর নিয়ে দেখতে হবে। মেদিনীপুর সদর বিডিও সুদেষ্ণা দে মৈত্র জানিয়েছেন, সমস্তটাই সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী হয়েছে।