নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আসছে রথ। মূলত ওড়িশার উৎসব হলেও শ্রীচৈতন্য ও বৈষ্ণব ধর্মের প্রভাবে উত্তর ওড়িশা থেকে অবিভক্ত বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে জগন্নাথ ও রথযাত্রার মহিমা। বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে রথের মেলায় পাওয়া যেত নীল বর্ণের জগন্নাথ পুতুল। নীলমাধব আদতে কি নীলই ? ভাবতে অবাক লাগে এই নীল রঙের ব্যবহারের মধ্যে লুকিয়ে আছে বাংলার সংস্কৃতির একটা আবহমান ধারা ! গড়িয়ার বণিকদের ‘রথবাড়ি’তে ২০১৪ পর্যন্ত জগন্নাথের মুখমন্ডলের রঙ ছিল নীল বর্ণের। পরিবারের বর্তমান সদস্য নারায়ন চন্দ্র বণিকের দাবি তাঁর পিতা চন্দ্র মোহন বণিক তৈরি করেন এই নীল বর্ণের জগন্নাথ ১৯৩৮ -১৯৩৯ এ। চন্দ্র মোহন তাঁর মায়ের পিন্ডদান করতে গয়া গিয়েছিলেন। সেখানে স্নান করে উঠতে গিয়ে একটি নিমের ছাড়া পান। সেই কারা নোয়াখালীর বাড়িতে এনে রোপন করেন এবং তার থেকে তৈরি করেন জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রার মূর্তি। নারায়ন বাবুর দাবি তার পিতা স্বপ্নাদিষ্ট হন টানা চোখ এবং নীল গাত্রবর্ণের জগন্নাথ মূর্তি তৈরি করবার জন্য।