স্যাক্সোফোন বাজিয়ে হিট পাণ্ডবেশ্বরের দুই গৃহবধূ

author-image
Harmeet
New Update
স্যাক্সোফোন বাজিয়ে হিট পাণ্ডবেশ্বরের দুই গৃহবধূ

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাণ্ডবেশ্বরঃ শ্বশুর বাড়ির আর্থিক অনটন কাটিয়ে তুলতে লকডাউনে সময়কে কাজে লাগিয়ে স্যাক্সোফোন বাজানোয় দক্ষতা অর্জন করে হিট পাণ্ডবেশ্বরের বাদ্যকর পরিবারের দুই গৃহবধূ। পাণ্ডবেশ্বরের ছোড়া গ্রামের ওই বাদ্যকর পরিবারের দুই গৃহবধূ যেন স্বয়ং মা লক্ষী। তাঁদের স্বামীরা ও শ্বশুর মশাই দীর্ঘদিন ধরে এই পেশায় যুক্ত থাকলেও সংসার চালাতে আর্থিক সঙ্কটে ভুগতেন তাঁরা। দুই গৃহবধূ সংসারের হাল ধরতে শ্বশুর বাড়ির পেশাকে বেছে নিয়ে বর্তমানে পেশাদার বাদ্যশিল্পী তাঁরা। স্যাক্সোফোন বাজাতে তাঁদের বর্তমানে ডাক আসে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা সহ ভিন রাজ্য থেকেও। ফলে শ্বশুর বাড়ির রোজগার খানিকটা হলেও বেড়েছে। তাঁদের স্যাক্সোফোন বাজানোকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন দুই গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বাদ্যকর পরিবারের কর্তা তথা বাদ্যশিল্পী বাবলু বাদ্যকর। তাঁর স্ত্রী ববি বাদ্যকর। তাঁদের ৩০ ও ২৫ বছরের দুই ছেলে কল্যাণ ও কুশল। দুই ভাই বাবার হাত ধরেই বাদ্যশিল্পী হয়েছেন। দুই ভাই স্যাক্সোফোন বাজানোর ওস্তাদ। বাবলুবাবু ও তাঁর দুই ছেলে বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাড়িতে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে সামান্য রোজগার করতেন। ২০১৮ সালে দুই ছেলের বিয়ে হয় একসাথে। বড় ছেলের স্ত্রীর নাম মন্দিরা ও ছোটো ছেলের স্ত্রীর নাম সুমনা। বর্তমানে দুই ভাইয়ের বছর আড়াইয়ের দুটি পুত্রসন্তান রয়েছে। তারাও এখন থেকেই বেড়ে উঠছে বাদ্যযন্ত্রের তাল ও বোল তুলে। বাবলুবাবু বলেন, "সারাবছর সেই ভাবে অনুষ্ঠানের কাজ পেতেম না। যে কাজ পাওয়া যেত, যা রোজগার হত তাতে সংসার চালাতে হিমশিম খেতাম। লকডাউনে অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় রোজগারও বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময় গৃহবন্দী জীবনযাপনকে কাজে লাগিয়ে দুই বৌমা ছেলেদের কাছ থেকে স্যাক্সোফোন বাজানো শিখে নেয়। এরপর আমাদের অনুমতি নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মঞ্চে স্যাক্সোফোন বাজাতে যায়। আজ তাঁদের যে কোনও অনুষ্ঠান বাড়িতে ব্যাপক কদর বেড়েছে। আমরা ও এলাকাবাসী গর্বিত।"