নিজস্ব সংবাদদাতা : পেরুতে খোঁজ মিললো ৭ মিলিয়ন বছরের পুরানো জীবাশ্মের যা কুমীরের প্রাচীন প্রজাতি সম্পর্কে নানান তথ্যের জানান দেয়। একটি গবেষণা দল ওই জীবাশ্মের সন্ধান পায়। এরপর জীবাশ্মবিদরা কীভাবে প্রাণীগুলি বিবর্তিত হয়েছিল সে সম্পর্কে সংকেত দিয়েছে৷ কীভাবে আধুনিক কুমীর এবং মিষ্টি জলের প্রাণীরা সমুদ্র থেকে ভূমিতে এসেছিল তা সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরে পেরুভিয়ান গবেষণা দল। তারা কুমীরের প্রাচীন প্রজাতির চোয়াল এবং মাথার খুলির অবশেষের বিশ্লেষণ করেছে।জীবাশ্মের একটি অধ্যয়ন ইঙ্গিত করে যে প্রাণীটি সম্ভবত আটলান্টিক মহাসাগর অতিক্রম করে দক্ষিণ আমেরিকার উপকূলে পৌঁছেছিল। রিসার্চার রডলফো সালাসের নেতৃত্বে দলটি সাম্প্রতিক বছরগুলিতে আংশিক কিছু কঙ্কাল সংগ্রহ করে এবং শেষ পর্যন্ত ২০২০ সালে পেরুর সাকাকো মরুভূমিতে একটি চোয়ালের হাড়ের উপর হোঁচট খেলে বুঝতে পারে যে প্রাণীগুলি লবণাক্ত জলে বসবাস করার পরে কীভাবে বিবর্তিত হয়েছিল৷ সালাস প্রজাতি সম্পর্কে বলেন, "কুমিরের যে নতুন প্রজাতি আমরা বিশ্বের কাছে উপস্থাপন করছি তা ৭ মিলিয়ন বছর আগে সাকাকোতে বাস করত। আমরা এই উপসংহারে পৌঁছেছি যে সমস্ত সামুদ্রিক কুমীর ছিল লম্বা এবং মুখ ছিল পাতলা। কুমীর দুই প্রকার ছিল। একটি যেটি প্রায় একচেটিয়াভাবে মাছ খাওয়ায় এবং আরেকটি যেটির অনেক বেশি সাধারণ খাদ্য ছিল।"