নিজস্ব সংবাদদাতা : ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। একেকটা ফলের এক একরকমের উপকারিতা। গরমের দিনে দুপুরে নুন দিয়ে কালো জাম খেতে ভালোবাসেন অনেকেই। তবে শুধু গরম কালেই নয়, বর্ষাকালেও জাম পাওয়া যায়। ওপরটা কালো। ভিতরটা বেগুনী। আর আছে বীজ। দেখতে ছোট গোলাকৃতির হলেও হাজার রোগের সমাধান এই জাম। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য জাম খুবই উপকারী ফল। কারণ, এতে থাকা অ্যান্টি-ডায়াবেটিক প্রোপার্টিজ-এর কারণে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, যা স্টার্চ ও চিনিকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরে শক্তির যোগান দেয়।জামে থাকা প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও লৌহ হাড়ের শক্তি বৃদ্ধির জন্য চমৎকারভাবে কাজ করে।
জামে রয়েছে আয়রন। শরীরে রক্তের জোগান দেয়। রক্তাল্পতা মেটায়। জামের নির্যাস ক্যান্সার হওয়া থেকে বাঁচায়।জামে আছে অ্যালজিনিক এসিড বা অ্যালজিট্রিন , অ্যান্থোসিয়ানিন এবং অ্যান্থোসায়ানাডিনস -এর মতো পুষ্টিসমূহ যা রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং এই যৌগগুলো শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস-সমৃদ্ধ যা অক্সিডেশন প্রতিরোধ করে এবং হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ভালো রাখতে অসামান্য অবদান রাখে।
এছাড়াও এটি পটাসিয়াম-এর একটি সমৃদ্ধ ভাণ্ডার, যা উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে সাহায্য করে। প্রতিরোধ করে হৃদরোগ। এছাড়াও জামে রয়েছে ভিটামিন-সি যা ত্বকের উপযোগী। জাম খাওয়ার পাশাপাশি জামের শাঁসটা অনেকেই মুখে মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করেন।