নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: বয়স মাত্র সাত। সাত বছর বয়সে মাঠে ঘাটে খেলে বেড়ানোর বদলে সে খেলছে ন্যাশনাল লেভেলে। অবাক হলেন নিশ্চয়ই? হ্যাঁ প্রথমে আমরাও অবাকই হয়েছিলাম কিন্তু পরে খোঁজ খবর নিয়ে দেখি এই ঘটনা খাঁটি সত্যি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা থানার অন্তর্গত ছোট একটি গ্রাম মোহনপুর যেখানে মা-বাবা আর ২ বছরের ছোট্ট বোনকে নিয়ে থাকে সানাম খাতুন।
একপ্রকার খেলাধূলার ছলেই প্রায় এক বছর আগে যোগব্যায়াম ক্লাসে সানামকে ভর্তি করেন তার মা-বাবা। কে জানত এত অল্প সময়ের মধ্যেই ছোট্ট মেয়েটি জাতীয় স্তরে তাদের মুখ উজ্জ্বল করবে? গৌরবতি যোগব্যায়াম প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ছাত্রী সানাম এই এক বছরেই ৩০ থেকে ৪০টি সার্টিফিকেট সহ ১০টি মেডেল দিয়ে তার ঘর সাজিয়ে ফেলেছে। ঘরে ঢুকেই দেখা যাবে তার একের পর এক কৃতিত্বের নমুনা। সানামের বাবা শেখ সাব্বির আলি পেশায় ডাক্তার এবং মা গৃহবধূ। ইতিমধ্যেই হরিয়ানার পানিপথে আয়োজিত জাতীয় স্তরে যোগব্যায়াম প্রতিযোগিতায় ১৭ বছর বয়সী মেয়েদের পিছনে ফেলে বিচারকদের মন জয় করে ৭ বছরের ছোট্ট সানাম।
খেলাধূলার পাশাপাশি পড়াশুনাতেও কৃতি ছাত্রী সে। পরপর তিনবার ক্লাসে প্রথম স্থান অধিকার করে এসেছে সে। যেখানে এই যুগের শিশুরা ফোনে গেম খেলতে ব্যস্ত সেখানে সানামের সোনার মেডেল জেতার ঘটনা অত্যন্ত গর্বের। 'বাচ্চাদের থেকে ফোন সরিয়ে রেখে তাদের খেলতে পাঠান, বাচ্চাদের খেলার ময়দানে নিয়ে যান', এমনই বার্তা দেন সানামের মা তাহেরা খাতুন।